মুজিবনগরে ১৮ দলীয় জোটের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

সমাবেশ স্থল থেকে ফেরার পথে সড়ক দর্ঘটনায় আহত ১২

 

মেহেরপুর অফিস: হামলা, মামলা, গ্রেফতার ও হরতালে হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় মুজিবনগর উপজেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক এমপি ও জেলা ১৮ দলীর জোটের আহ্বায়ক মাসুদ অরুন বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন।

মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম। প্রতিবাদসভা পরিচালনা করেন পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস। সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে মাসুদ অরুন বলেন, সরকার সংলাপের নামে যে নাটক করছে; তা রাজপথের সংগ্রামের মাধ্যমে জবাব দেয়া হবে। একদলীয় নির্বাচনের যেকোনো ষড়যন্ত্র জনগণ প্রতিহত করবে। জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির আলহাজ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুর রহমান, জেলা সংগ্রাম পরিষদের যুগ্মআহ্বায়ক ইলিয়াছ হোসেন, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শেখ সাঈদ আহমেদ সাঈদ, জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ফারুক হুসাইন, সদর উপজেলা আমর মাও. রুহুল আমিন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল হক মাস্টার, জেলা জামায়াতের রাজনৈতিক সেক্রেটারি জার্জিস হুসাইন, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি খান জাহান আলী, জেলা ছাত্রদল নেতা হোসেন, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুদ্দিন বিশ্বাস, জেলা কৃষকদলের সভাপতি আব্দুর রব মাস্টার, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওবাইদুল্লাহ সেন্টু, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রহিম, মুজিবনগর উপজেলা জাসাসের আহ্বায়ক হেলাল প্রমুখ। সমাবেশ শেষে সাবেক এমপি মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি মুজিবনগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এদিকে বেলা দেড়টার দিকে মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজারে অনুষ্ঠিত ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশ থেকে বাড়ি ফেরার পথে পাউয়ার টিলার দুর্ঘটনায় বিএনপি সমর্থক অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৮ জনকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের সবার বাড়ি মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামে। এরা হলেন- হাজারি শেখের ছেলে নয়মুদ্দিন শেখ (৬৮), ইয়াজুদ্দিনের ছেলে আরোজ আলী (৪৯), তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে শুকুর আলী (৪৪), মহিরুদ্দিনের ছেলে কলিমউদ্দিন (৪৩), নজুর ছেলে কালম (৩৬), ফজলুল হকের ছেলে জুয়েল (৩২), রেজাউল হকের ছেলে রাশেদ (২৫) ও আজিজুল হকের ছেলে নাহিদ (২০)। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গুরুতর আহত নয়মুদ্দিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার প্রেরণ করা হয়েছে বলে।

মেহেরপুর-মুজিবনগর প্রধান সড়কের গৌরিনগর গ্রামের মোড়ে কর্মীদের বহনকারী একটি পাউয়ারটিলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে খবর পেয়ে মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক এমপি জেলা মাসুদ অরুন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে যান এবং আহতদের খোঁজখবর নেন।