মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকের হাতে তুলে দিলো থানা পুলিশ

আটক ৬ মাদকসেবীকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তির শর্ত

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ৬ মাদকসেবীকে আটক করে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তির শর্তে অভিভাবকের মুচলেকা নিয়ে ছাড়লেন আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। পুলিশ গতকাল শুক্রবার আলমডাঙ্গা স্টেশন থেকে ওই ৬ মাদকসেবীকে আটক করে। পরে সংক্ষিপ্ত কাউন্সেলিং’র মাধ্যমে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসায় রাজি করিয়ে সন্ধ্যায় অভিভাবকের জিম্মায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।
মাদকসেবীদের কাউন্সেলিং সম্পর্কে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ খান বলেন, কখনও কখনও আমাদের সন্তানদের জীবনে মাদকাসক্তিসহ এমন সব সমস্যা আসে যেগুলোর জন্য তারা একেবারেই প্রস্তুত থাকে না বা মোকাবিলা করতেও সক্ষম হয় না। ফলে তাদের মধ্যে দিশেহারাবোধ, রাগ-ক্ষোভ, অসহায়ত্ব, ভয়, হতাশা, দুঃখ বা অক্ষমতা দেখা দেয়। সে পরিস্থিতির মোকাবেলা করা সম্ভব হয় না। সে সময় জীবন একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় কাউন্সেলিংয়ের সহায়তায় তারা জীবনের গোপনীয়তা রক্ষা করে নিজের সমস্যার কথা বলতে পারে এবং প্রতিকূল পরিস্থিতির সাথে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়। কাউন্সেলিং মাদকাসক্তের জন্য জরুরি। অনেক মাদকাসক্তের অভিভাবক সন্তানকে নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে চাইলেও মাদকাসক্ত ছেলে মোটেও রাজি হয় না। অনেক অভিভাবক আবার সামাজিকতার ভয়ে প্রাণপ্রিয় সন্তানকে নিরাময় কেন্দ্রে পাঠাতে দ্বিধা করেন। এ সমস্যা সমাধান কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে খুব সহজেই করা যায়। এটা এমন একটা প্রক্রিয়া বা ব্যবস্থা যা নিজেদের ভালো করে চিনতে শেখায়। আর সেই সাথে তারা যে বিরূপ পরিস্থিতির মোকাবেলা করছে সেই পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণার জন্ম দেয়। কাউন্সেলিংয়ের সাহায্যে জীবনের অভিজ্ঞতা বা বোধ গড়ে ওঠে, তারা নিজেদের পরিচয় সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়ে ওঠে এবং গঠনমূলক উপায়ে সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হয়। সন্তানকে মাদকাসক্তি থেকে ফিরিয়ে আনতে সকল অভিভাবককে তাদের নিজ নিজ সন্তানকে কাউন্সেলিং করানোর পরামর্শ দেন। এ ব্যাপারে এডিশনাল আইজিপির দিকনির্দেশনা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।