মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসার শিক্ষা পাইনি : প্রধানমন্ত্রী

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসার শিক্ষা পাইনি। তাই ২০০১ সালে আওয়ামী লীগকে হারিয়ে দেয়া হয়। সেবার তারা (বিএনপি-জামায়াত জোট) দেশের সম্পদ (বিদেশিদের হাতে) দিয়ে দেয়ার মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসে। সেজন্য সেবার ক্ষমতায় আসতে পারিনি। পরে জনগণ ২০০৯ সালে আবার আমাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনে। এখন আমরা বিশ্বসভায় উন্নয়নের রোল মডেল। সবাই আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে চলছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও বিভাগসমূহের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর দেশ ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ২১ বছর অন্ধকারে ছিলো। আমাদের দেশের ভাগ্য থেকে ২১ বছর হারিয়ে গেলো। তারপর নানা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা ক্ষমতায় এলাম। দেশের জনগণ প্রথমবারের মতো উপলব্ধি করতে পারলো সরকার জনগণের জন্য, জনগণের সেবার জন্য।

সংগ্রামের পথ বেয়েই বাঙালি স্বাধীন জাতির মর্যাদা পেয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এসময় স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা স্মরণ করেন। আমলাতান্ত্রিক মনোভাব পরিহার করে কাজ করতে সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করুন। কালক্ষেপণ না করে প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রকল্পগুলো যেন ইলাস্টিকের মতো টেনে নেয়া না হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্ষাকালে কাগজ-পত্রের যতো কাজকর্ম আছে সেগুলো সেরে ফেলতে হবে। যখনই বর্ষা নেমে যাবে, সাথে সাথে কাজ শুরু করে দিতে হবে। যে কাজগুলো ঘরে বসে করার, তা বর্ষাকালেই সেরে ফেলতে হবে। তাহলে বর্ষা শেষের সঙ্গে সঙ্গেই কাজ শুরু করে করে দিলে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আমরা প্রচুর সময় পাবো। অধিক কাজ বাস্তবায়ন করতে পারবো। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ২৯ জুন বাজেট পাস করেছি, ৬ জুলাই কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এর ফলে বাজেটের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করার বেশি সময় পাবো। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়েই এ বাজেট বাস্তবায়ন করবো। তিনি অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমাদের দেশ ও জাতির উন্নয়নে অর্থনৈতিক নীতিমালাকে ১০ বছর পরপর আরও আধুনিক করে প্রণয়ন করতে হবে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী।