মাদারীপুরে দু স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার: মাদারীপুর সদর উপজেলায় দু স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাদের পরিবার। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের একজনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার আগে ধর্ষণের ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। এ ঘটনায় দু যুবককে আটক করেছে পুলিশ। নিহত দু স্কুলছাত্রী হলো- ঝিকরহাটি গ্রামের বিল্লাল শিকদারের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৪) ও একই এলাকার হাবিব খার মেয়ে হ্যাপি আক্তার (১৫)। দুজনই মস্তফাপুর বহুমুখি বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলো।

হাসপাতালসূত্র জানায়, চার যুবক বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় দু স্কুলছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে এসে তারা বিষ খেয়েছে বলে জানায়। এরপর বিকাল পৌনে ৫টার দিকে হ্যাপি মারা যাওয়ার পর ওই চারজন পালিয়ে যায়। পরে ৬টার দিকে সুমাইয়াও মারা যায়। সন্ধ্যার দিকে শিপন ও রফিক নামে দু যুবককে হাসপাতালে এসে নিহত দুজনের ব্যাপারে খোঁজ করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরিবারের দাবি, মস্তফাপুর বহুমুখি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে বুধবার ওই দু স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে পাশের কুমার নদীর পাড়ে নিয়ে যায়। এরপর ওই দু শিক্ষার্থীর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনের পর বিষ খাইয়ে তাদের হত্যা করা হয়।

নিহত সুমাইয়ার বাবা বিল্লাল শিকদার জানান, একই এলাকার হাশেম শিকদার ও মিন্টু শিকদারের সাথে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ১০ বছর আগে তাদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ বাধে। এ বিষয়ে মামলা হলে মামলা তুলে নিতে হুমকিও দেয়া হয়। এরই জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। নিহত হ্যাপির চাচা বজলুর শেখ জানান, স্থানীয় প্রভাবশালীরা এ ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শফিকুল ইসলাম রাজিব জানান, নিহতদের মধ্যে একজনের শরীরের অসংখ্য স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিলো। শ্লীলতাহানির পর বিষপানের ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

সদর থানার এসআই বারেক হোসেন জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে শিপন ও রফিক নামের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। দু ছাত্রীকে হত্যার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।