মাত্র একজন সুইপার দিয়ে দুটি স্টেশনের কাজ চালাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ !

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনে নিয়মিত সুইপার না থাকায় ময়লা দুর্গন্ধে চলাচল অসহনীয় পড়েছে। বিশেষ করে ওয়েটিং রুম ও স্টেশনের বারান্দাগুলো ময়লা আবর্জনা জমে যাত্রীদের চলাচলে অসুবিধার সম্মুখিন হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। রনজিত কুমার নামে একজন সুইপার সপ্তাহে মাত্র তিনদিন কাজ করছে বলে এমনটাই ঘটছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এদিকে২০১১ সালে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চুয়াডাঙ্গা স্টেশন পরিদর্শনকালে টেলিফোন না থাকায় শিগগিরই টেলিফোন সংযোগের কথা বললেও অদ্যাবধি তার কোনো খবর নেই।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনে এডিবি’র বরাদ্দকৃত সুইপার থাকার কথা ৪ জন। অথচআছে মাত্র একজন সুইপার। রনজিত কুমার চুয়াডাঙ্গার জন্য বরাদ্দ থাকলেও গত দুমাস যাবত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে সপ্তায় তিনদিন দর্শনা হল্টস্টেশনে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। ফলেচুয়াডাঙ্গা ও দর্শনা কোনোস্টেশনেই ঠিকমতো পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন থাকছেনা। এতে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।

এব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা জেলা লোকমোর্চার সভাপতি অ্যাড. আলমগীর হোসেন (পিপি) জানান,চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন ১৫০ বছরের পুরাতন ও ঐতিহ্যবাহী স্টেশন। অথচগুরুত্বপূর্ণ চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনে নিয়মিত সুইপার ও টেলিফোন সংযোগ না থাকার বিষয়টি বিস্ময়কর। এব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনের মাষ্টার আব্দুল খালেকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অসুবিধার কথা বিবেচনা করে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।