মহেশপুরে এক চাঁদাবাজি মামলায় গ্রামবাসী সকলেই আসামি!

 

 

ঝিনাইদহ অফিস: আদালতে চাঁদাবাজির একটি পিটিশনে আসামি করা হয়েছে গ্রামের সব মানুষকে।বাদ যায়নি শিশু থেকে মহিলা কেউই। আদালতে এ পিটিশনটি দায়ের করেছেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মুন্ডুমালা গ্রামের ইদ্রিস আলী নামের এক ব্যক্তি।

গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, নেপা ইউনিয়নের মুণ্ডুমালা গ্রামের নেছার উদ্দিনের ছেলে ইদ্রিস আলী গত ২৩ জুলাই ঝিনাইদহ দ্রুত বিচার আদালতে সাড়ে ৫ লাখ টাকার একটি চাঁদাবাজির পিটিশন দায়ের করেন। পিটিশনে আসামি করা হয়েছে মুণ্ডুমালা গ্রামের শিরাজুল ইসলাম পচা, মোজাম্মেল হক, নাজির উদ্দিন, আলাউদ্দিনসহ ৮৪৭ জনকে। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ২৫ জুলাই মহেশপুর থানায় পৌঁছুলে থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাজান আলী খান মামলাটি রেকর্ড করে।

মুণ্ডুমালা গ্রামের মিলন রহমান জানান, মূলত ইদ্রিস আলী গ্রামবাসীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়েই তাদেরকে হয়রানি করার জন্য এই মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেন। নেপা ইউপি চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলাম জানান, আমি শুনেছি কতিপয় ব্যক্তি ইদ্রিস আলীকে হয়রানি করছে তাই সে রাগের বশবর্তী হয়ে এই মামলাটি করতে পারে। এছাড়া আর কিছু আমার জানা নেই। তবে মামলার বাদী মুণ্ডুমালা গ্রামের ইদ্রিস আলীর সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিপ্লব কুমার রায় জানান, মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে আমার কাছে পুরো মামলার ঘটনাটি সাজানো মনে হয়েছে। এ কারণে আমি মামলাটির ফাইনাল প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করেছি।