মরুভূমিতে অলৌকিকহ্রদ!

মাথাভাঙ্গা মনিটর: তিউনিশিয়ার মরুভূমিতে হঠাত করে জেগে উঠেছে একটি হ্রদ! মরুভূমিতে হঠাত হ্রদেরসৃষ্টি হওয়ায় দেশজুড়ে তা ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।মানুষের মনে নানারকম প্রশ্ন ছাড়াও একেকজন একেকরকম সংশয় প্রকাশ করছেন। কেউএটাকে অলৌকিক হ্রদ বলে মনে করছেন। কেউ এটিকে আশীর্বাদ, আবার কেউ অভিশাপ মনেকরছেন হরদটিকে।

প্রায় তিন সপ্তাহ আগে হ্রদটি প্রথমে কয়েকজনমেষপালকের চোখে পড়ে। পরে সরকারি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে ব্যাপারটি।কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এক হেক্টরের বেশি জায়গা জুড়ে বিস্তৃত হরদটিতে ১০লাখ ঘনমিটারের বেশি পানি আছে। এর গভীরতা স্থান ভেদে ১০ থেকে ১৮ মিটার।মরুভূমিতে এমন একটি হ্রদ কেমন করে সৃষ্টি হলো, তার ব্যাখা এখনো পাওয়াযায়নি। স্থানীয় ভাষায় হরদটির নাম দেয়া হয়েছে গাফসা।

উল্লেখ্য, গাফসা হলো বিশ্বের সর্ববৃহৎ ফসফেটের খনি। আর তিউনিশিয়া হলো বিশ্বের পঞ্চমবৃহত্তম রাসায়নিক রপ্তানিকারী দেশ। যে কারণে, হরদটির পানিতে রাসায়নিকপদার্থ থাকার আশংকা করছেন অনেকে। ধরণা করছেন, এই পানিতে নামলে ক্যান্সারেরঝুঁকি বাড়তে পারে।

হ্রদের পানি শুরুতে ছিলো স্বচ্ছ। স্ফটিক নীল ছিলোতার রঙ। পরবর্তীতে তা সবুজ রঙ ধারণ করে। কর্তৃপক্ষ ওই পানিতে নামার বিষয়েসবাইকে সতর্ক করে দিলেও ইতোমধ্যে ছয় শতাধিক মানুষ ওই হরদে স্কুবা ডাইভকরেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই জায়গায় সাঁতার কাটতে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়াহয়নি। তবে পানি দূষিত হওয়ার কিংবা পানিতে রাসায়নিক পদার্থ থাকাতে পারে তাইতিউনিশিয়ানদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।তবে হ্রদ সৃষ্টির কোনো সরকারিব্যাখা দেয়া হয়নি। কিন্তু কিছু ভূতত্ত্ববিদ বলছেন, ভূকম্পনের ফলেভূগর্ভস্থ পানি ওপরে উঠে আসতে পারে। তার ফলেই হয়তো এই হরদের সৃষ্টি হয়েছে।