ভোলারদাড়ি গ্রামের প্রবাসী স্বামী মাসুম ও তার দুলাভাই বাবুর বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় একাধিক মামলা : পুলিশের নিষ্ক্রীয়তায় আশকারা

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ভোলারদাড়ি গ্রামের প্রবাসী স্বামী মাসুম ও তার দুলাভাই বাবুর বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশের নিষ্ক্রীয়তায় আশকারা পাচ্ছে মাসুম ও তার দুলাভাই বাবু। যার কারণে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে ক্রমেই মনোবল হারিয়ে ফেলছেন নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ ও তার অসহায় পরিবার।

জানা গেছে, ৯ ফেব্রুয়ারি আলমডাঙ্গা উপজেলার গড়চাপড়া গ্রামের শাহাবুল ইসলাম সাবুর বিবাহিতা মেয়ে আলমডাঙ্গা থানায় উপস্থিত হয়ে তার স্বামী ভোলারদাড়ি গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মাসুম ও স্বামীর দুলাভাই চুয়াডাঙ্গা বাগানপাড়ার বাবুকে অভিযুক্ত করে এজাহার দায়ের করেন। স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের অশ্লীল ছবিসহ বিভিন্ন ন্যুড ছবি কৌশলে ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় এ এজাহার দায়ের করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী মাসুমের দুলাভাই বাবু নির্যাতনের শিকার কিশোরীর পিতা, চাচা ও মামাসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে নানা রকম হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে ভূক্তভোগী পরিবার।

গৃহবধূর পিতা জানিয়েছেন, বাবু নিজে ছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তিকে দিয়ে একাধিক মোবাইলফোনে নানা রকম হুমকি দিচ্ছে। ‘থানায় এজাহার করে কী করবি? আমি চুয়াডাঙ্গায় নেতাদের সাথে থাকি। পুলিশ কোনোদিন আমাকে ধরবে না। আর সাংবাদিক লিখে কী করবে? এ সব পথ থেকে সরে আয়। মিটিয়ে ফেল সবকিছু। না হলে বোমা মেরে সবাইকে শেষ করে দেয়া হবে। তোর মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হবেশ।’ বাবুর হুমকিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন নির্যাতিতা গৃহবধূর পিতা শাহাবুল ইসলাম। এমন অব্যাহত হুমকির মুখে গত শুক্রবার নির্যাতিতা গৃববধূ আলমডাঙ্গা থানায় উপস্থিত হয়ে বাবুসহ কয়েকজনের নামে আরেকটি এজাহার দায়ের করেছে।

শাহাবুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২য় দফা এ এজাহার দায়েরের ঘটনায় বাবু অপরিচিত মোবাইল থেকে ফোন করে দম্ভোক্তি করে বলেছে- পুলিশের সাথে কথা হয়েছে। একশ’ মামলা করেও লাভ হবে না। সব মামলা তাড়াতাড়ি তুলে নিবি। না হলে খবর আছে। অন্যদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রবাসী মাসুমের কয়েকজন প্রতিবেশী বলেছেন, মাসুম মোবাইল করে তার পিতাকে চিন্তা করতে নিষেধ করে বলেছে তাকে বিদেশ থেকে ধরে তো আনতে পারবে না পুলিশ। আর মামলা মেটাতে তার এক মাসের টাকা লাগবে।