ভূমিষ্ঠ হয়েই ঘটনার জন্ম দিয়ে দু ঘণ্টার মাথায় না ফেরার দেশে পাড়ি দিলো সদ্যজাত

 

স্টাফ রিপোর্টার: সাতানসে ছেলে ভুমিষ্ঠ হয়েই কিছু ঘটনার জন্ম দিয়ে চলে গেছে না ফেরার দেশে। গতকাল ভোরে ভূমিষ্ঠ হয় সে। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর সাড়া না দিলে মারা গেছে ভেবে কাঁথায় মুড়িয়ে রাখা হয় তাকে। গতকাল শুক্রবার সাতসকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে রাখা আলমসাধুতে রাখা কাঁথা নড়চে দেখে কৌতুহল দানা বাধে। সেখান থেকে উদ্ধার করে সদ্যজাতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তাকে বাঁচিয়ে রাখা যায়নি। চিকিৎসার দু ঘণ্টার মাথায় মারা গেছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের বড়সলুয়া গ্রামের নাজমুল হোসেনের স্ত্রী সাথীর পরশু রাতে প্রসববেদনা শুরু হয়। সাত মাসেই সাথীর গর্ভপাত ঘটে। ভূমিষ্ঠ হয় সন্তান। আলমসাধুযোগে সাথী ও সদ্যজাতকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে সদ্যজাতের সাড়া না পেয়ে সাথে থাকা লোকজন ভাবে মারা গেছে। সন্তান মারা গেলেও প্রসূতির যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে জন্যই হাসপাতালে নিয়ে প্রসূতিকে ভর্তি করানো হয়। সদ্যজাত মারা গেছে ভেবে আলমসাধুর ওপরই কাঁথা মুড়িয়ে রাখা হয়। প্রসূতিকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে তাকে নিয়েই সাথে থাকা সকলে যখন ব্যস্ত, তখন আলমসাধুর ওপর কাঁথার মধ্যে কি যেন নড়চে দেখে কৌতুলী জনতা এগিয়ে যায়। কাঁথা খুলেই দেখে শিশু। চমকে ওঠে। জনতার ভিড় জমে। সাথীর লোকজনও সেখানে হাজির হয়। তারা বলে, সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুসন্তান মারা গেছে। এ কথা শুনে কৌতুহলী জনতা সদ্যজাতকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসকের নিকট নেয়। চিকিৎসক দ্রুত ভর্তি করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। শুরু হয় চিকিৎসা। অবশ্য ঘণ্টা দুয়েকের মাথায় সদ্যজাত মারা যায়। তার মাকেও ফিরিয়ে নেয়া হয় গ্রামে।