ভালাইপুরে বাল্যবিয়ে ভেস্তে যাওয়ার পর কনের পিতার ক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার: বিয়ের সব আয়োজন যখন চূড়ান্ত, তখন বরসহ বরযাত্রীও বাদকদল নিয়ে ছাদনা তলায় হাজির। এমন সময় বাল্যবিয়ে ভাঙতে পুলিশসহ জনপ্রতিনিধি হাজির হওয়া দেখে কনের বাবা হতদরিদ্র কৃষ্ণ দাস বারবার অনুরোধ করেও বরযাত্রীদের একমুঠো খাবার তুলে দিতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, যে মেম্বার আমার হাতে মেয়ের প্রাপ্ত বয়সের জন্মসনদ এনে দেন, সেই মেম্বারই রাতে পুলিশের সাথে এসে বিয়ের আয়োজন ভেস্তে দিয়ে আমাকে পথে বসিয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভালাইপুর গ্রামের কৃষ্ণ দাসের মেয়ে অঞ্জনা মালা এক বছর আগে ৫ম শ্রেণিতে পড়তো। পড়ালেখা বাদ দিয়ে বাড়িতেই রয়েছে। এর মধ্যে নাটোরের ঝাড়গোপালপুরের সুকুমার দাসের ছেলে প্রসনজিতের বিয়ে ঠিক হয় তার। গত সোমবার বিয়ের জন্য বরযাত্রী ভালাইপুরের কৃষ্ণদাসের বাড়ি হাজিরও হয়। এর মাঝে গোকুলখালী পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই কামরুল ইসলাম ইউপি মেম্বার ও স্কুলের প্রধান শিক্ষককে সাথে নিয়ে বিয়ে বাড়ি হাজির হয়ে বাল্যবিয়ে ভেস্তে দেন। এ সময় মেয়ের বাবা কৃষ্ণ দাস মেয়ের জন্মসনদ দেখালে প্রশ্ন তুলে বলেন, যে মেয়ে এক বছর আগে পড়তো ৫ম শ্রেণিতে তার বয়স ১৯ বছর হয় কীভাবে?
ইউপি মেম্বার শুকুর আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিদের্শে বাল্যবিয়ে ভেস্তে দেয়া হয়েছে। ওরা কোথা থেকে কীভাবে জন্মসনদ এনেছে তা বলতে পারবো না। পক্ষান্তরে কনের বাবা বলেছেন, বিয়ের আয়োজনের আগেই যদি মেম্বার বাধা দিতেন তাহলে আমাকে পথে বসতে হতো না।