ভারতে যাজিকা গণধর্ষণের শিকার

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একজন বয়োবৃদ্ধ যাজিকা গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ৭৪ বছর বয়সী ওই যাজিকা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত ছয় ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, রানাঘাট এলাকায় শনিবার ভোরের দিকে ওই ব্যক্তিরা স্থানীয় চার্চ পরিচালিত একটি স্কুলে জোর করে ঢুকে তাণ্ডব চালায় এবং অর্থ লুট করে। এরপর তারা চার্চে প্রবেশ করে এবং যাজিকাকে ধর্ষণ করে। সম্প্রতি দিল্লির বেশ কয়েকটি চার্চে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদে রাস্তা নামে সেখানকার খ্রিস্টান সমাজ। তাদের অভিযোগ উগ্রবাদী হিন্দুরা এ হামলা চালাচ্ছে। তারা সরকারের কাছে অধিক সুরক্ষার দাবি জানিয়েছেন। কোলকাতার আর্চবিশপ টমাস ডিসুজা বলেন, চার্চ ও স্কুলের ভেতরে থাকা নিরাপত্তা ক্যামেরায় এ ঘটনায় জড়িত ছয় ব্যক্তির মুখ দেখা গেছে। তারা প্রথমে স্কুলের প্রিন্সিপালের কার্যালয় এবং শ্রেণিকক্ষে তাণ্ডব চালায়। এরপর তারা চার্চে প্রবেশ করে। ওই সময় সেখানে মাত্র তিনজন যাজিকা উপস্থিত ছিলেন। একজন যাজিকার ওপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। বাকি দুজন যাজিকা এবং একজন নিরাপত্তারক্ষীকে চেয়ারের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিলো। ওই ব্যক্তিরা অর্থ চুরি করেছে বলেও জানান তিনি। চার্চ পরিচালিত ওই স্কুলটি সুপরিচিত এবং ১৯ বছর ধরে শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। এ ঘটনার পেছনে কি উদ্দেশ্য ছিলো তা এখনও জানা যায়নি। তবে ভারতের খ্রিস্টান সমাজের দাবি, তাদের ওপর ক্রমবর্ধমান হামলার জ্বলন্ত নজির এটা।