ভারতে ফেলানী হত্যার পুনর্বিচার শুরু

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কুচবিহারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ-এর সেক্টর হেড কোয়ার্টারের বিশেষ আদালতে ফের ফেলানী হত্যার বিচার শুরু হচ্ছে সোমবার। কুড়িগ্রাম ৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কুচবিহারের বিএসএফ’র সদর দফতরে স্থাপিত বিশেষ আদালতের স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্টে সোমবার এ বিচার কাজ শুরু হবে। তিনি আরও জানান, বিএসএফ’র ডাক পেলেই দুই-এক দিনের মধ্যেই সাক্ষ্য দিতে ভারত যাবেন ফেলানীর বাবা নূর ইসলাম, মামা আবদুল হানিফ, ৪৫ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ ও পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানী তার বাবার সাথে ভারত থেকে ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে বাড়ি ফিরছিলো। রাতে দালালের মাধ্যমে মই বেয়ে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় বিএসএফ’র গুলিতে প্রাণ হারায় সে। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা কাটাতারের বেড়ায় তার লাশ ঝুলে ছিলো। এ ঘটনায় দেশ-বিদেশের গণমাধ্যম ও মানবাধিকারকর্মীরা ব্যাপক সমালোচনার ঝড় তোলে। খোদ ভারতের গণমাধ্যমগুলোর সোচ্চার ভূমিকায় কোচবিহারের বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট বিচারিক কার্যক্রম শুরু করে ভারত সরকার। আদালতে সাক্ষী দেন প্রত্যক্ষদর্শী বাবা নূর ইসলাম ও মামা আবদুল হানিফ। কিন্তু অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমীয় ঘোষকে ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বেকসুর খালাস দেন বিশেষ আদালত। এদিকে ফেলানী হত্যার সঠিক বিচার না পেয়ে ২০১৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ভারতীয় হাইকমিশনারের মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে পুনর্বিচারের আবেদন করেন ফেলানীর বাবা। পরে বিজিবি-বিএসএফ’র দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ফেলানী হত্যার পুনর্বিচারে সম্মত হয় বিএসএফ।