ভারতেরপরমাণু কর্মচারীদের ৭০ ভাগের মৃত্যু ক্যান্সারে

 

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতেরপরমাণু শক্তি কেন্দ্রগুলোতে মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। এতেদেখা গেছে, অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে ক্যান্সারে। কর্মরত ব্যক্তিদের গত ২০বছরে সেখানে ৩ হাজার ৮৮৭ জন মারা গেছেন। আর এসব মৃত্যুর ৭০ শতাংশই হয়েছেক্যান্সারে।

ভারতের তথ্য অধিকার আইনের আওতায় ১৯৯৫ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত পরমাণু কেন্দ্রেরকর্মরতদের মৃত্যু নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন দেশটির মানবাধিকার কর্মী চেতনকোঠারি। তথ্যে জানা যায়, ১৯টি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে গত ২০ বছরে মোট ৩৮৮৭জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ২৬০০ জনের মৃত্যুর পেছনে দায়ী ক্যান্সার।মুম্বাইয়ের ভাবা আণবিক গবেষণা কেন্দ্র (বিএআরসি) নিয়েও চাঞ্চল্যকর খবর উঠেএসেছে। গত ২০ বছরে এ কেন্দ্রের কর্মীদের মধ্যে ২৫৫ জন আত্মহত্যা করেছেন।অর্থাৎ গড়ে প্রায় প্রতিমাসে একজন করে কর্মী আত্মহত্যা করেছেন। তদন্তে দেখাগেছে, আত্মহত্যাকারীরা হয় দীর্ঘদিন রোগে ভুগছিলেন আর না হয় তাদের পারিবারিকসমস্যা ছিল।
ভারতের ১০টি শীর্ষস্থানীয় ঘাতক রোগের অন্যতম ক্যান্সার।দেশটিতে বার্ষিক মৃত্যুর ৭ শতাংশই হয় ক্যান্সারের কারণে। এ হিসেবে দেশটিতেপ্রতিবছর প্রায় ৯৫ লাখ মানুষ ক্যান্সারে মারা যায়। এ সত্ত্বেও ভারতের ডিএইবা আণবিক শক্তি কেন্দ্রগুলোতে উচ্চ হারে ক্যান্সারের মৃত্যুকে বিপদজনকহিসেবে অভিহিত করেছেন প্রবীণ চিকিৎসক ও বাইকুলার জে জে হাসপাতালের সাবেকশিক্ষক ডা. আলতাফ প্যাটেল। তেজস্ক্রিয় উপাদানের সংস্পর্শে আসার কারণেক্যান্সারে এ সব মৃত্যু হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত বলেও মন্তব্য করেনতিনি। তবে পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে ক্যান্সারে মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্যেরবিষয়ে কোনো কোনো চিকিৎসক সংশয় প্রকাশ করেন। তবে ভারতের নাম প্রকাশেঅনিচ্ছুক এক ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ বলেন, সাধারণভাবে ক্যান্সারকে বৃদ্ধ বয়সেরঅসুখ হিসেবে মনে করা হয়; কিন্তু চাকরিরত অবস্থায় অর্থাৎ ৬০ বছরের নিচে এতবেশি মানুষ ক্যান্সারে মারা গেলে বিষয়টি উদ্বেগজনক হিসেবেই নিতে হবে।