বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে মাঠে চলছে বোরো ধান কাটার মহৎসব

 

দামুড়হুদা অফিস: চলতি বোরো চাষ মরসুমে ধানকাটা, মাড়াই শুরু হয়েছে। এখন কৃষক কৃষাণীরা ব্যস্ত সময় পার করছে। এ বছরেও ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা হলেও দাম না থাকাই দুশ্চিন্তায় ধানচাষিরা।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় চলতি বোরো চাষ মরসুমে আবাদ হয়েছে ৩৩ হাজার ৮২৫ হেক্টর জমিতে যা গত বছরের চেয়ে এ বছর ৯৮৮ হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে উফশি জাতের ২৭ হাজার ৪৭৫ হেক্টর, হাইব্রিড জাতের ৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। প্রতি বছর চাষিরা বোরো আবাদ করে বেশ লোকসান গুনতে হয়েছে। ধানের উৎপাদন খরচ বেশি ও ধানের দাম কম হওয়ায় চাষিরা এ লোকসানের মধ্যে পড়ে। এ বছর ১ বিঘা জমিতে সেচ খরচ শ্যালোমেশিনের ধরা হয়েছে ৬-৭ হাজার টাকা। তবে গভীর নলকূপের আওতায় ১ বিঘা জমিতে সেচ খরচ ধরা হয়েছে ২ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার ২শ টাকা পর্যন্ত। বিঘাপ্রতি ২০ থেকে ২৫ মণ পর্যন্ত ফলন হচ্ছে। উৎপাদন খরচের তুলনায় ধানের দাম কম হওয়ায় চাষিদের কিছুটা লোকসান গুনতে হবে। প্রতিবছর সরকারিভাবে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনার সিদ্ধান্ত হলেও অজ্ঞাত কারণে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনেনা। ফলে চাষিরা ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। এ বছর চাষিদের কাছ থেকে সরকারিভাবে ধান কেনার ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে।

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুফি মো. রফিকুজ্জামান জানান, এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। বোরো ধানের ভালো ফলন ও উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য গুটি ইউনিয়া সার ব্যবহার করেছে। যার জন্য চাষিরা ভালো ফলন পেয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে।