বেদনা বিধূর পরিবেশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বকুল

স্টাফ রিপোর্টার: নিকটজন, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবসহ পরিচিতদের শোক সাগরে ভাসিয়ে আকস্মিক বিদায় নেয়া মাহবুবুর রহমান বকুলকে বেধনা বিধূর পরিবেশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বাদ জোহর চুয়াডাঙ্গা দৌলাতদিয়াড় ব্রিজের নিকট নামাজে জানাজা শেষে দক্ষিণপাড়া কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। গতপরশু রাত পৌনে ১টার দিকে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আগামী বৃহস্পতিবার বাদ আছর মরহুমের নিজ বাড়িতে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। মিলাদে সকলকে শরিক হওয়ার জন্য পরিবারিকভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

নামাজে জানাজায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আশাদুল হক বিশ্বাস, আলুকদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আক্তাউর রহমান মুকুল, চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর আব্দুল মজিদ, আলুকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড. বেলাল হোসেন, দৈনিক মাথাভাঙ্গা সম্পাদক প্রেসক্লাব সেক্রেটারি সরদার আল আমিন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, সাংবাদিক রফিক রহমান, বিপুল আশরাফসহ অসংখ্য মানুষ শরিক হন।

চুয়াডাঙ্গা পুরাতন জেলখানার নিকটস্থ সমবায় ব্যাংক ভবন মার্কেটের চুয়াডাঙ্গা ফটোস্ট্যাটের স্বত্বাধিকারী মাহবুবুর রহমান বকুল ৪৮ বছর বয়সেই ইহকাল ত্যাগ করলেন। দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার মরহুম মজিবর রহমানের ছেলে বকুল ছিলেন সদালাপী। বিএডিসির ঠিকাদারও ছিলেন তিনি। বন্ধুদের জন্য চরম ত্যাগী ও নিরিবিলি জীবনযাপনে অভ্যস্ত মাহবুবুর রহমান বকুলের শরীরে বাসা বেঁধেছিলো নীরব ঘাতক ডায়েবেটিস। হৃদপিণ্ডের অলিগলিগুলো কবে কখন বন্ধ হয়েছে তা বুঝতেই পারেননি। গতপরশু রাতে নিজ বাড়িতে বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। তাকে দ্রুত নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। ভর্তির কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। মৃত্যুকালে মাহবুবুর রহমান বকুল মা, স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।