বুচিডং পুরোপুরি রোহিঙ্গাশূন্য নানা রোগে আক্রান্ত রোহিঙ্গারা

ক্যাম্পে ফিরেছে সেই ৩০ হাজার রোহিঙ্গা

স্টাফ রিপোর্টার: রাখাইনের বুচিডং শহরের ১৪টি গ্রাম থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গা গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুতুপালং ও বালুখালী ক্যাম্পে ফিরেছে। গত সোমবার ভোরে তারা পালংখালী ইউনিয়নের আনজুমানপাড়া জিরো পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করলে বিজিবি সদস্যরা তাদের বাধা দেয়। কয়েকদিনের অভুক্ত রোহিঙ্গারা এ সময় জমির আইল, চিংড়ি ঘেরের হাঁটুপানি ও ধানী জমিতে অবস্থান করে। এদের অধিকাংশ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। সেখানে একটি মসজিদে অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্পে অসুস্থদের চিকিত্সা সেবা দেয়া হয়। কুতুপালং ক্যাম্পের আশেপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে  অবস্থান করা বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা বলেন, ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় এবং নির্ঘুম রাত কাটানোর ফলে তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।

বুচিডং শহরের খিয়াংধং গ্রামের রওশন আলী (৩৮) জানান, বুচিডং শহরে ৮৫টি গ্রাম আছে। এরমধ্যে ১৪টি গ্রাম বাদে সবকটি গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এ ১৪টি গ্রামের বাসিন্দারাই সর্বশেষ বাংলাদেশে আসে। তিনি আরও বলেন, তাদের গ্রামগুলো বিচ্ছিন্ন এলাকায় হওয়ায় তারা জীবন বাজি রেখে সেখানে থাকার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ও উগ্রপন্থি বৌদ্ধরা তাদের থাকতে দিলো না। শাদা কার্ড ধরিয়ে দিয়ে অত্যাচার, জুলুম, মারধর, ধানচাল ও সহায় সম্পদ লুটপাট শুরু করে। তাই এক সপ্তাহ আগে ওই ১৪টি গ্রামের ৩০ হাজার রোহিঙ্গা বাড়ি ছাড়ে। গত সোমবার ভোরে আনজুমানপাড়া সীমান্তে এসে তারা বিজিবির বাধার মুখে পড়ে। আইওএম এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈকত বিশ্বাস বলেন, আটকেপড়া ৩০ হাজার রোহিঙ্গার কুতুপালং ও বালুখালী ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন মেডিক্যাল সেন্টারে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার পাশাপাশি শুকনো খাবার ও ত্রাণসামগ্রীর কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।