বীরভূমে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ৯

 

তৃণমূল সিপিআইএম দ্বন্দ্ব নাকি জেএমবি

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের বীরভূমের লাভপুরে শুক্রবার বোমা বিস্ফোরণে ৯ জন মারা গেছেন। এরা সবাই ওই জেলার মীরপুর গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ রয়েছে- বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায়
জামাআ’তুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) ঘাঁটি গেড়েছে। এ বিস্ফোরণের সাথে তারা জড়িত কি-না পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তবে ভিন্ন সূত্রমতে, বালুমহাল দখল নিয়ে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে স্থানীয় জনতার দ্বন্দ্ব চলছিলো সেখানে। এ নিয়েই এ বিস্ফোরণ। আর তৃণমূল এর জন্য সিপিআইএমকে দোষারোপ করছে।

লাভপুরের অধিবাসীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে সেখানে বালু উত্তোলন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার লড়াই চলছিল। বামফ্রন্টের শাসনামলে সেখানে সিপিআইএমের আধিপত্য ছিলো। বর্তমানে সেখানে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ছত্রচ্ছায়ায় অবৈধ বালুর কারবার চলছে। এ বালুর খাদান (বালুমহাল) দখল নিয়েই স্থানীয়দের সাথে তৃণমূলের বোমা-গুলির লড়াই চলে আসছে। এরই মধ্যে গতকাল শুক্রবার এ হতাহতের ঘটনা ঘটলো। বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সিপিআইএম এবং বিজেপি মিলে তাদের কর্মীদের ওপর বোমা-গুলি চালানোর অভিযোগ তুলেছে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি সেখানে উসকানি দিচ্ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত থেকে ওই গ্রামে সিপিআইএমের সন্ত্রাসীরা ঢুকে পড়ে এবং শুক্রবার সকালে তৃণমূল সমর্থক গ্রামবাসীর ওপর বোমা-গুলি চালায়। সিপিআইএমের স্থানীয় নেত্রী সুনিতা হাসদা তৃণমূলের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, সেখানে সিপিআইএমকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডই চালাতে দেয় না তৃণমূল। সেই স্থানে সিপিআইএম এই অশান্তি করবে কী করে?
কলকাতার গণমাধ্যমগুলো এ ঘটনায় আটজন নিহত হওয়ার খবর দিচ্ছে। যদিও বিকালে বীরভূম জেলা পুলিশ দাবি করে, নিহতের সংখ্যা চার। প্রত্যেকেই পুরুষ। বোমার স্পি­ন্টারের আঘাতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে মীরপুর গ্রামের দরবারপুর হাইস্কুলের সামনে বিস্ফোরণ হওয়া বেশ কয়েকটি বোমার অংশ পাওয়া গেছে বলেও জানায় পুলিশ। রাজনৈতিক সংঘর্ষ কিনা এ নিয়ে পুলিশ অবশ্য কিছু বলতে রাজি হয়নি। ঘটনাস্থলটি বর্ধমানের খাগড়াগড়-কাণ্ডের স্থান থেকে মাত্র পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরে।