বিয়ের কথা বলে বাড়ি ডেকে সটকে পরলো অভিযুক্ত কামররুল

চুয়াডাঙ্গার দোস্তগ্রামে নাকফুল পরিয়ে কলেজছাত্রীকে স্ত্রীর মতো দেহভোগ

দর্শনা অফিস: কলেজছাত্রীকে দেহভোগ করতে অভিনব কৌশল অবলম্বন করলো চুয়াডাঙ্গা দোস্তগ্রামের অভিযুক্ত লম্পট কামরুল। নাকফুল পরিয়ে স্ত্রীর মতো দেহভোগ করেছে কলেজছাত্রী রতœাকে। বিয়ের কথা বলে বাড়িতে ডেকে সটকে পড়েছে প্রতারক প্রেমিক কামরুল। এ ঘটনায় বিয়ের দাবিতে অনড় থাকায় কলেজছাত্রীর ওপর নেমে এসেছে অমানুষিক নির্যাতন। অবশেষে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে কামরুলের মা-বোনসহ পরিবারের সদস্যরা। প্রতারকের প্রতারণার শিকার হয়ে বিচারের আশায় দিন গুনছে কলেজছাত্রী রতœা।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্তগ্রাম আমতলাপাড়ার দিনমজুর হরলেস মোল্লার কলেজপড়ুয়া মেয়ে রতœাকে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করতো একই পাড়ার বাবু মোল্লার ছেলে কামরুল ইসলাম (২৫)। কামরুল প্রভাবশালী পরিবারের ছেলে হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। কলেজছাত্রী অভিযোগ করে জানান, বছর দুয়েক আগে কামরুল নাক ফুল পরিয়ে আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দেয় গোপনে। পরে আমাকে স্ত্রী দাবি করে বিভিন্ন সময় একাধিক স্থানে নিয়ে আমার দেহভোগ করেছে। গত কয়েকদিন আগে বিয়ের কথা প্রকাশ করার দাবি করা হলে বেকে বসে সে। গোপন বিয়ের বিষয়টি বাড়িতে জানানোর কথা বলে গত পরশু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কামরুল আমাকে মোবাইল ফোনে তার বাড়িতে ডাকে। কামরুলের কথামতো তার বাড়িতে গিয়ে দেখি সে সটকে পড়েছে। বিয়ের দাবি নিয়ে কামরুলের খোঁজ নিতে গেলে তার মা ও বোনসহ পরিবারের সদস্যরা আমার ওপর অমানষিকভাবে নির্যাতন চালায়। এ সময় কলেজছাত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলেও কারো প্রতিরোধের ক্ষমতা ছিলো না। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কামরুল লাপাত্তা রয়েছে। কলেজছাত্রী দাবি করে বলেছে, দু’বছর ধরে কামরুল আমাকে স্ত্রীর মতো ব্যবহার করেছে। বিষয়টির প্রতি নজর দেয়ার জন্য মানবাধিকার সংস্থা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে কলেজছাত্রীর অসহায় পরিবার। এ বিষয়ে অভিযুক্ত কামরুলের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ থাকায় সম্ভব হয়নি।