বিশ্ব টুকিটাকি : ভারতে ভোটের সময় জাত-ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করলো সুপ্রিম কোর্ট

ভারতে ভোটের সময় জাত-ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করলো সুপ্রিম কোর্ট
মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতে ভোটের সময়ে জাত, ধর্ম ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। দেশটির প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুর বলেছেন, নির্বাচন প্রক্রিয়াটা অবশ্যই ধর্ম নিরপেক্ষ হওয়া দরকার। তিনি বলেন, কোনো রাজনীতিবিদ জাত, ধর্ম, বিশ্বাসের ভিত্তিতে ভোট চাইতে পারবেন না। আদালতের রায় এমন সময়ে আসলো যখন ভারতের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার রাজ্য উত্তর প্রদেশে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। উত্তর প্রদেশের ভোটের রাজনীতিতে ধর্ম ও জাত প্রথা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই প্রদেশের নির্বাচনের ফলাফলের উপরেই নির্ভর করবে ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচন করতে পারবেন কী না। ভারত সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র কিন্তু নির্বাচনের সময়ে ভোটারদের মধ্যে আবেদন তৈরির প্রধান উপাদান হয়ে দাঁড়ায় জাত ও ধর্ম। বর্তমান ক্ষমতাসীন বিজেপি হিন্দু জাতীয়তাবাদী  চেতনা ব্যবহার করে দীর্ঘদিন রাজনীতি করে এসেছে। মুসলিম বিরোধী বক্তব্য দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের  মেরুকরণ ঘটিয়েছে। চলতি বছর উত্তর প্রদেশ ছাড়াও পাঞ্জাব, উত্তরাখ-, গোয়া ও মনিপুরে প্রাদেশিক নির্বাচন হবে।

 

ইস্তাম্বুলে হামলার দায় স্বীকার আইএসের
মাথাভাঙ্গা মনিটর: তুরস্কের ইস্তাম্বুলের একটি নাইট ক্লাবে থার্টি ফার্স্টের পার্টিতে গুলি চালিয়ে ৩৯ জনকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। গতকাল সোমবার বার্তা বিনিময়ের অ্যাপ টেলিগ্রামে দেয়া এক বিবৃতিতে আইএস এ হামলার দায় স্বীকার করে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। তাদের এ দাবির ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে তুর্কি কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি। আইএসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্রুসেডারদের রক্ষক তুরস্কের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় যে নাইট ক্লাবে খ্রিস্টানরা উৎসব উদযাপন করে সেখানে খিলাফতের একজন বীরযোদ্ধা হামলা চালিয়েছে। গত রোববার ইস্তাম্বুলে বসফরাস প্রণালীতে ভাসমান বিখ্যাত রেইনা নাইট ক্লাবে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের জন্য আয়োজিত পার্টিতে একজন বন্দুকধারী হামলা চালায়। নতুন বছরের প্রথম প্রহরের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পার্টিতে উপস্থিত ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে অটোমেটিক রাইফেল দিয়ে গুলি করতে করতে এগুতে থাকে হামলাকারী। এ সময় অনেকেই জীবন বাঁচাতে বসফরাসের পানিতে লাফিয়ে পড়েন। হামলায় নিহতরা  সৌদি আরব, মরক্কো, লেবানন, লিবিয়া, ইসরাইল, ভারত, তুর্কি-বেলজিয়ান, ফরাসী-তিউনেসিয়ান নাগরিক। সৌদির আল রিয়াদ পত্রিকার জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে মোট ৫ জন সৌদি নাগরিক রয়েছেন।

সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেই চলছে সংঘর্ষ
মাথাভাঙ্গা মনিটর: সিরিয়াজুড়ে চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেই কিছু এলাকায় সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এর ফলে কোথাও কোথাও বেসামরিক সিরীয় নাগরিকরা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন। সম্প্রতি রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় সিরিয়ার বিবদমান পক্ষগুলো। এতে সহিংসতার মাত্রা কমলেও কিছু জায়গায় গোলাগুলি, বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ অব্যাহত থাকার কথা জানা গেছে। বিদ্রোহীরা অভিযোগ করেছে, সরকারি বাহিনী ও হিজবুল্লাহ গেরিলারা রাজধানী দামেস্কের উত্তর-পশ্চিমের ওয়াদি বারাদা উপত্যকায় বিদ্রোহী যোদ্ধাদের হটানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এফএসএ ও সিরিয়ার সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর জোট জানিয়েছে, ওই এলাকায় একটি স্থল হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো সরকারি বাহিনী।