বিশ্ব টুকিটাকি : ইরানি টিভি চ্যানেল মালিককে ইস্তাম্বুলে গুলি করে হত্যা

ছবি দেখার আগে হাওরবাসীর পাশে দাঁড়ান

স্টাফ রিপোর্টার: আহ্বানটা জানিয়েছেন আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনি। ছবি দেখার আগে সিলেট সুনামগঞ্জের অকালবন্যায় ফসল হারানো হাওরবাসীর পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছেন তিনি। গতকাল রোববার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরীমনি লেখেন, ‘আমার সিনেমাটা ‘‘আপন মানুষ এমন সময় মুক্তি পেয়েছে, যখন সুনামগঞ্জ, সিলেট, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার ও কিশোরগঞ্জের মানুষের ফসল অকালবন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। স্বভাবতই এবারের আনন্দটা সেভাবে উদ্যাপন করতে পারছি না। তাদের জন্য অনেক বড় কিছু করতেও পারছি না। কতোটুকুইবা করার থাকতে পারে আমার মতো মানুষের! তবুও আমার মতো করে চেষ্টা করছি। আমার স্বজন, ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ীদের এবার আমার সিনেমা দেখার জন্য আহ্বান করার আগে বলবো হাওরবাসীর পাশে দাঁড়ান। তাদের চোখে-মুখে আনন্দের ঝলক নিশ্চিত করে অতঃপর নিজে আনন্দের জন্য সিনেমা হলে আসুন। আমাদের আসল হিরো-হিরোইনদের রক্ষা করুন। আমরা তো প্রতীকী হিরো-হিরোইন…!’

 

হিমালয় কেড়ে নিলো কিংবদন্তি পর্বতারোহীর প্রাণ

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কিংবদন্তি সুইস পর্বতারোহী উয়েলি স্টেক পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টে এক অভিযানের সময় নিহত হয়েছেন। চল্লিশ বছর বয়স্ক উয়েলি স্টেক পর্বতারোহণের জন্য বহু পুরস্কার পেয়েছেন, এবং তিনি দ্রুতগতিতে পর্বতে ওঠার ক্ষমতার জন্য সুপরিচিত ছিলেন। তাকে অনেকে ‘একজন কিংবদন্তি’ বলেও আখ্যায়িত করেছেন এবং তাকে নিয়ে তৈরি হওয়া সিনেমা নতুন প্রজন্মের অনেককে পর্বতারোহণের প্রতি আকৃষ্ট করেছে। তিনি অক্সিজেন ছাড়াই নতুন একটি পথ দিয়ে এভারেস্ট শৃঙ্গে ওঠার অভিযানের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। সে সময় এক দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হন বলে জানিয়েছেন নেপালি পর্যটন অফিসের কর্মকর্তারা। জানা গেছে দুর্ঘটনার সময় তিনি একাই পর্বত বেয়ে উঠছিলেন, এবং সে সময় বরফের ঢাল থেকে পিছলে প্রায় ১ হাজার মিটার নিচে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু ঘটে বলে অনুমান করা হচ্ছে। স্টেক ২০১২ সালে একবার অক্সিজেন ছাড়া মাউন্ট এভারেস্টে উঠেছিলেন। এছাড়া ২০১৫ সালে ইউরোপের আল্পস পর্বতমালার ৮২টি শৃঙ্গে আরোহণ করেছিলেন মাত্র ৬২ দিনে। পর্বতারোহণের ক্ষেত্রে তার দৃষ্টিভঙ্গি এবং কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতার জন্য মি. স্টেককে অনেকে ডাকতেন ‘সুইস মেশিন’ বলে। তার কয়েকটি অভিযান নিয়ে চলচ্চিত্রও তৈরি হয়েছে।

 

ইরানি টিভি চ্যানেল মালিককে ইস্তাম্বুলে গুলি করে হত্যা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ইরানি টিভি চ্যানেল জেম টিভির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সাঈদ কারিমিয়ানকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। একই ঘটনায় তার কুয়েতি ব্যবসায়ী অংশীদারও নিহত হয়েছেন। ইস্তাম্বুলের মাসলাক এলাকায় কারিমিয়ানকে গুলি করে হত্যা করা হয়। যে গাড়িটি ব্যবহার করে তাকে হত্যা করা হয়েছে সে গাড়িটিও পরে পোড়ানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। ইরানের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালানোর অভিযোগে কারিমিয়ানের অনুপস্থিতিতে তাকে তেহরানের আদালত ছয় বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। মুখোশপরা বন্দুকধারীরা শনিবার সন্ধ্যায় তাকে ও তার ব্যবসায়িক অংশীদারকে গুলি করে। কারিমিয়ান ঘটনাস্থলেই নিহত হন, তার অংশীদার মারা যান হাসপাতালে। জেম টিভি বিদেশি ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন শো ফার্সি ভাষায় ডাবিং করে ইরানে প্রচার করতো। ইরানে ইসলামি মূল্যবোধ বিরোধী প্রচারণার অভিযোগ রয়েছে জেম টিভির বিরুদ্ধে।

 

যুক্তরাষ্ট্রে জলবায়ু চুক্তি ইস্যুতে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

মাথাভাঙ্গা মনিটর: প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র যাতে না সরে আসে সেই দাবিতে কয়েক হাজার মানুষ এখন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরের রাস্তায় প্রতিবাদ র‍্যালি করছে। এর আগে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলায় যে প্যারিস চুক্তি করা হয়েছিলো সেটাকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ধাপ্পাবাজি বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন প্যারিস চুক্তি থেকে আমেরিকাকে সরিয়ে আনবেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ মিছিল এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১০০ দিনের উদযাপন করছেন। প্রথমে আয়োজকরা পরিকল্পনা করেছিলেন তারা হোয়াইট হাউস ঘেরাও করবেন। কিন্তু ট্রাম্প সেখানে ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদে অংশ নিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণি-গোত্রের মানুষ। সেখানে তরুণ,বৃদ্ধ, বৌদ্ধ ভিক্ষু থেকে শুরু করে নেটিভ আমেরিকানদের বিভিন্ন দলকে দেখা যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবস্থান বরাবরই অপছন্দের ছিলো অ্যাকটিভিস্ট গ্রুপগুলোর। আয়োজকরা বলছে শুধুমাত্র ওয়াশিংটন ডিসিতেই তাই ১৫ হাজার মানুষ জড়ো করেছে। তারকদের মধ্যে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও এবং সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর-এর এই র‍্যালিতে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।

 

ডাকাতের পিস্তলের মুখে ভাবলেশহীন ক্যাশিয়ার 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: অভিনব পন্থায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে আমেরিকার কানসাসের জনস রেস্টুরেন্টে। ক্রেতা সেজে দোকানে প্রবেশ করার পর পকেট থেকে পিস্তল বের করে সব টাকা-পায়সা নিয়ে গেছে ডাকাত। ডাকাতির এই দৃশ্যের ভিডিও সম্প্রতি ইউটিউবে ছেড়েছে পুলিশ। আর সাথে সাথে ভিডিওটি ভাইরাল। তবে ডাকাতির কৌশলের জন্য নয়, ভাইরাল হয়েছে ভয়-ডরহীন ক্যাশিয়ারের জন্য। ক্যাশিয়ারের দিকে পিস্তল তাক করে একে একে সব টাকা লুট করে নিয়ে যায় ওই ডাকাত। তবুও ওই ক্যাশিয়ারের মাঝে কোনো ধরনের আতঙ্ক দেখা যায়নি। কোনো রকম ভয়ের ছাপ নেই ক্যাশিয়ারের মুখে। খুব শান্তভাবে ক্যাশবাক্সটাই দুষ্কৃতীর হাতে তুলে দেন তিনি। এরকম একটা পরিস্থিতিতে এভাবে প্রতিক্রিয়াহীন হওয়ার নজির নেই বললেই চলে। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এ দৃশ্য।