বিশ্বায়নের যুগে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান খুবই সময়োপযোগী

চুয়াডাঙ্গার প্রথম সুপারশপ বিগবাজারের দ্বার উম্মোচনকালে হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দার এমপি

স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি বলেছেন, সুপারশপ বিগবাজার চুয়াডাঙ্গায় বেশিমাত্রায় শোভাবর্ধন করলো। এটি শহরবাসীর জন্য বিরাট মহতি উদ্যোগ। বিশ্বায়নের যুগে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান খুবই সময়োপযোগী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চুয়াডাঙ্গার প্রথম সুপারশপ বিগবাজারের দ্বার উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
বিগবাজারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল হক স্বাগত বক্তব্যে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে একটি স্বপ্ন লালন করতাম। আর তা হলো নিরাপদ খাদ্য সামগ্রীর একটি নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠান চালু করা। কারণ, নিরাপদ স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ খাদ্য খুবই জরুরি। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় সেটা বাস্তবায়িত হওয়ায় আমি আবেগ আপ্লুত। এখানে শুধু খাবারই নয়, মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় ১০ হাজারেরও অধিক পণ্য একই ছাদের নিচে বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামীতে আরও সম্প্রসারণ করতে চাই। এই প্রতিষ্ঠানটি আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে আগামীদিনগুলোতে চলতে চাই।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, এ ধরনের সুপারশপ একটি সুপার আইডিয়া। যা দেশের অনেক পুরোনো জেলাতেও নেই। আজিজুল হক সুপারশপ চালু করে একটি ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এখন এই সুপারশপ চালানোর দায়িত্ব নগরবাসীর।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদুল হক জোয়ার্দ্দার লেমন বলেন, একই ছাদের নিচে নিত্যদিনের চাহিদা অনুযায়ী সকল পণ্যের সুযোগ সৃষ্টি করা খুবই দুঃসাহসের। বর্তমান সময়ে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান খুবই উপযোগী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবু, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খুস্তার জামিল, জিপি মোল্লা আব্দুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌসুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট মহ. শামশুজ্জোহা ও নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহফুজুর রহমান জোয়ার্দ্দার মিজাইল। অন্যান্যের মধ্যে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সেলিম উদ্দিন খান, জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ শেখ, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গার হকপাড়ায় রফিক নামের এক বৃদ্ধের গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা
স্টাফ রিপোর্টার: মেয়ে মরলো গলায় ফাঁস লাগিয়ে, বাবাও একই পথ বেছে নিলো। আহা বেচারা বেশ কিছুদিন ধরে শুধু মরার কথা বলতো। সত্যি সত্যিই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলো। কথাগুলো বলতে বলতে পরিবারসহ মহল্পাবাসীর অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলো। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চুয়াডাঙ্গা শহরের হকপাড়ায় রফিউদ্দীন আহমেদ রফিক নামের এক বৃদ্ধ বাড়ির পাশের এক ভেটুল গাছের ডালে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি ওই এলাকার মৃত আলী আহমেদের ছেলে। গতকাল রাতে রফিকের লাশের পাশে থাকা পরিবারের লোকজন ও মহল্পাবাসী ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, রফিউদ্দীন আহমেদ রফিক (৭০) ছিলেন একজন ইজিবাইক চালক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অন্যের ইজিবাইক ভাড়া নিয়ে চালাতেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি থাকতেন তারই এক ভাইরা ভাই সৌদি প্রবাসী ইকবালের বাড়িতে। মাস দেড়েক আগে গাড়ির মালিক তাকে গাড়ি না দিলে তিনি বেকার হয়ে পড়েন। সংসার চালাতে বিভিন্নভাবে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। বেকার জীবনে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। দিন বিশেক আগেও তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার বাড়ির পাশের একটি ভেটুল গাছের ডালের সাথে লাইলোনের দড়ি গলায় পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন রফিক। এলাকার এক যুবক তাকে গাছের সাথে ঝন্নÍ অবস্থায় দেখতে পান। তার চিৎকার চেঁচামেচিতে এলাকার অনেকে ছুটে এসে তাকে উদ্ধার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। সেখানে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসক বলেন, রফিক হাসপাতালে আনার অনেক আগেই মারা গেছেন। এলাকাবাসী আরও বলেন, বছর খানেক আগে রফিকের বড় মেয়ে রিক্তা তার শশুরবাড়ি সাবদারপুরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লাশ তার বাড়িতে রাখা ছিলো।