বিরামহীন টানা বর্ষণে আলমডাঙ্গা উপজেলার জনজীবন স্থবির: নিচু ফসলি মাঠ প্লাবিত

 

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আষাঢ়ের সপ্তাব্যাপি বিরামহীন টানা বর্ষণে আলমডাঙ্গা উপজেলার জনজীবন স্থবির। মাঝারী ও নিচু জমির রোপা আমন ধান জলাবদ্ধতায় তলিয়ে গেছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে উপজেলার বেশ কয়েকটি মাঠের আমন ধানের আবাদ। অধিক টাকা ব্যয়ে রোপণকৃত ধান নিয়ে এখন বিপাকে কৃষকরা। সঠিকভাবে পানি নিস্কাশনের জন্য ইতোমধ্যে ভরাট ও দখলকৃত বিভিন্ন খাল-বিল উদ্ধার করে পুনর্খনন করা জনগণের প্রাণের দাবি হয়ে উঠেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সপ্তাব্যাপি আষাঢ়ের বিরামহীন অঝোর ধারায় বর্ষণের ফলে আলমডাঙ্গাবাসীর স্বাভাবিক জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। অবিরাম বৃষ্টির ধারায় বাইরে বের হওয়ার কোনো উপায় নেই। প্রয়োজনবশত বাইরে বের হলেই শেয়ালভেজা হয়ে ঘরে ফিরতে হচ্ছে। বৃষ্টিতে ভিজে জবজবে হয়ে শহরে রিকশাচালকদের রাস্তাময় উপস্থিতি তাদের অর্থনৈতিক দৈন্যতার পরিচয় প্রকট করে তুলেছে। উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের গ্রামের বেশিরভাগ নিম্ন ও মাঝারি উচ্চতার মাঠের সদ্য রোপণকৃত আমন ধানক্ষেত জলাবদ্ধতায় তলিয়ে গেছে। কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে এ প্রবল জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কখনো ভারী, কখনো মাঝারী বিরতিহীন এ বৃষ্টিপাতে আমন ধানের চারাও তলিয়ে গেছে। কিছু কিছু মাঠে অথই পানির মাঝে উকি মারছে সদ্য রোপণকৃত ধানের চারা। সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রোজার প্রথম দিন থেকে বন্ধ হলেও এখনও নিয়মবহির্ভুতভাবে কিন্ডার গার্টেন বিদ্যালয়গুলো চালান হচ্ছে। সন্তানকে স্কুলে রেখে আসতে ও নিয়ে আসতে হাঁটুপানি অতিক্রম করছে অভিভাবকরা।

পূর্বে যে সকল খাল-বিল দিয়ে পানি নিষ্কাশিত হতো, তার ভেতর উপজেলার বেশ কিছু খাল-বিল ইতোমধ্যে ভরাট হয়ে গেছে। দখল করে আকৃতি পরিবর্তন করা হয়েছে। পানি নিস্কাশনের পরিকল্পিত ব্যবস্থা নেই। দাবি উঠেছে দখলকৃত ও ভরাটকৃত খাল-বিল পুনরুদ্ধার করে নতুন করে খনন করার। উপজেলার সুষ্ঠু পানি নিশকাশন ব্যবস্থা পরিকল্পনামাফিক নিশ্চিত করার।