বিএনপির ৩০০ সিটে ৯০০ প্রার্থী ফলাফল মারামারি : ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির ৩০০ সিটে ৯০০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করার ফলাফল মারামারি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি একদিকে বলে নির্বাচন করবে না, অন্যদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম ঘোষণা দিলেন, ৩০০ সিটের জন্য ৯০০ প্রার্থী। এই কথা বলার সাথে সাথে তাদের সাংগঠনিক প্রতিনিধি সফর অর্ধেকও সফল হয়নি। এক আসনে তিনজন প্রতিযোগিতা করছে, ফলাফল কী? মারামারি।

গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবঙ্গু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘কারাগারের রোজনামচা’ বই বিতরণ ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইনের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহের হোসেন প্রিন্স, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পুলিশ বাধা দিচ্ছে এসব কথা না বলে, স্বীকার করুন আপনারা নিজেরা নিজেদের বাধা দিচ্ছেন,নিজেদের সভা পণ্ড করছেন। একে অন্যকে সরকারের এজেন্ট বলছেন, পার্টি অফিসে রোজ রোজ ধাক্কাধাকি।কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না।

এটা হচ্ছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, বাংলাদেশ নালিশ পার্টি।বর্তমান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলনের আর দুই মাস বাকি আছে স্মরণ করিয়ে দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।তিনি বলেন, আরেকটা জাতীয় সম্মেলন খুব দূরে নয়। এই কমিটির দুই বছর হয়ে গেছে।ছাত্রলীগের এই কমিটির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের আর কয়েক মাস বাকি আছে, আমি জানি। ২৫-২৬ জুলাই সম্মেলন হয়েছে। আর দুই মাস বাকি।ছাত্রলীগে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে তাগিদ দিয়ে নেতাদের উদ্দেশে সংগঠনটির সাবেক এই সভাপতি বলেন,কমিটি গঠনে যদি দল ভারি করার জন্য প্যারাসাইড, অনুপ্রবেশকারী ও পরগাছাদের স্থান দেয়া হয়,তবে ভালো রেজাল্ট পাওয়া যাবে না। সেই রকম কিছু ঘটলে তা পূর্বসূরি হিসেবে আমাদের লজ্জা দেয়।সরকার,পার্টির উন্নয়ন-অর্জনকে ম্লান করতে একটি ঘটনাই যথেষ্ট।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে পলিটিক্যাল রুম থাকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমি সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মন জয় করবো,তাদের কথা বলবো।কিন্তু হলে পলিটিক্যাল রুম থাকবে,পলিটিক্স করতে হলে এসব রুমে আসতে হবে।এর প্রয়োজনীয়তা দেখি না।কেন পলিটিক্যাল রুম থাকবে? সবাই যোগ্যতার ভিত্তিতে সিট পাবে।পলিটিক্যাল রুম নিয়ে আমাকে একজন যুক্তি দিয়েছে,পলিটিক্যাল রুম হলে মিছিল অনেক বড় হয়।মিছিলে যত লোক হচ্ছে,তার চেয়ে বেশি লোক বিরক্ত হচ্ছে।এমন কোনো কাজ কি করা উচিত? ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি গঠনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে দুই নেতার ভাগাভাগির সমালোচনা করেন তিনি।গ্রুপের নয় কমিটি গঠনে যোগ্যতার স্বীকৃতি দিতে নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগে যোগ্যতার স্বীকৃতি দাও। যারা ছাত্রলীগ করে, যারা আঞ্চলিক রাজনীতি করে,জেলা ছাত্রলীগ করে, তাদের যোগ্যতা যেন জিম্মি না হয়।যোগ্য হলে একই উপজেলা থেকে নেতা হবে।বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশে সাবেক সভাপতি বলেন,এমন কিছু কর যা অনুকরণীয়-অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। নৈতিকতাকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় কর।সে কাজটা করতে না পারলে বঙ্গবন্ধুর বই হাতে তুলে নিয়ে বাসায় গিয়ে বাবা-মার কাছে দেবে নয় তো টেবিলে তুলে রাখবে।