বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে রক্ষা পেল নিমতলা গ্রামের ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রী

 

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: বিয়ের অনুষ্ঠানে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আকস্মিক অভিযান পরিচালনার ফলে বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে রক্ষা পেলো নিমতলা গ্রামের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী নাসিমা। গতকাল বেলা ১২টার দিকে এ অভিযানকালে বিয়ের অনুষ্ঠানে আগত নিমতলা গ্রামবাসী ওই গ্রামে আর বাল্যবিয়ে হতে দেবেন না বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলমের নিকট প্রতিশ্রুতি দেন।

জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার নিমতলা গ্রামের নাসির উদ্দীনের ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে নাসিমা খাতুনের বিয়ে ঠিক হয় একই উপজেলার কামালপুর গ্রামের শওকত মেম্বারের অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে সবুজের সাথে। গতকাল বুধবার ছিলো ওই বিয়ের দিন। গতকাল যথারীতি ধুমধাম করে বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে দু পক্ষই বেশ তৎপর ছিলো। নিমন্ত্রিত অতিথি ও বরযাত্রীদের জন্য রান্নাবান্নারও আয়োজন চলছিলো। এরই মধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম ওই বাল্যবিয়ের বিষয়টি জানতে পারেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে নিমতলা গ্রামে গিয়ে ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে আকস্মিকভাবে তিনি উপস্থিত হন। তাকে দেখে বাল্যবিয়ের আয়োজনে ব্যস্ত গ্রামের হোমড়া-চোমড়ারা অপ্রস্তুত ও কিংকর্তব্য বিমুঢ় হয়ে যায়। ওই সময় ওই বাল্যবিয়ে আর না দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা বার বার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট ক্ষমা চায়তে থাকে। এমনকি বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত গ্রামবাসী তাদের গ্রামে আর বাল্যবিয়ে হতে দেবেন না বলেও প্রতিশ্রুতি দেন। বাল্যবিয়ের অনুষ্ঠানে জড়িত ব্যক্তিদের কড়া হুশিয়ারি দিয়ে এ সময় নির্বাহী অফিসার বলেন, যদি তিনি কখনও জানতে পারেন ওই অপ্রাপ্ত মেয়েকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে গোপনে বিয়ে দেয়া হয়েছে, তাহলে অভিভাবক বিয়ের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠাবেন। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে কাউকে সাইড না দিয়ে দ্রুত গতিতে আলমসাধু চালানোর অভিযোগে নতিডাঙ্গা গ্রামের রাশিদুল নামের এক আলমসাধু চালককে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২০০ টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।