বালিশযুদ্ধ বেলুন ফুটোর লড়াইয়ে মাতোয়ারা গোধুলি : ক্ষুদে দু গানরাজ মাতালো দর্শক-শ্রোতা

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বার্ষিক সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বার্ষিক পুলিশ সমাবেশ ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান গতকাল শনিবার বিকেল থেকে গোধুলি লগ্ন পর্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। রাতে ছিলো নৈশভোজ আর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ক্ষুদে দু গানরাজসহ তিন ভাই-বোন গানে গানে মাতিয়ে তোলে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের।

Untitled-1 copy.jpg0

দুপুরের পর থেকেই চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে আমন্ত্রিত অতিথিদের পদচারণা শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশ সমাবেশের উদ্বোধন করেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মনির-উজ-জামান বিপিএম। জেলা পুলিশের সালাম গ্রহণের পর শুরু হয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় পুলিশ সদস্য ও পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিদের পৃথক ইভেন্টে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়। বালিশযুদ্ধ সকলের দৃষ্টি কাড়। নিচে পানি দিয়ে বিশেষভাবে নির্মাণ করা বালিশ প্রতিযোগিতার স্থানটি ঘিরে প্রথম থেকেই ছিলো দর্শনার্থীদের কৌতুহল। বালিশযুদ্ধ যখন শুরু হয় তখন মুর্হুমুর্হু করতালিতে প্রতিযোগিরা আবেগে আপ্লুত হয়ে ওঠেন। পুলিশ সদস্যদের স্ত্রী-কন্যাদের নিয়ে বালিশ বদল আয়োজনকে যেন পূর্ণতা দেয়। আর অতিথিদের জন্য বেলুন ফুটো প্রতিযোগিতা? চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, ডিআইজি এসএম মনির-উজ-জামান, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন, ৬ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল মনিরুজ্জামান, ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, মেহেরপুর পুলিশ সুপার হামিদুল আলম, যশোর পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান বিপিএম, পিপিএম, মাগুরা পুলিশ সুপার একেএম এহসেন উল্লাহ, কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম বেনজির, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ছুফী উল্লাহ প্রমুখ। বেলুন ফুটো প্রতিযোগিতায় হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দার এমপি জিতে নেন প্রথম পুরস্কার। প্রতিযোগিতা শেষে অতিথিরা বিজয়ী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

সন্ধ্যার পর পরই শুরু হয় নৈশভোজের পর্ব। রাত ৮টার দিকে স্টেজে ওঠেন শিল্পীরা। কেউ শুরু করেন গান, কেউ কেউ আবৃত্তি করতে থাকেন কবিতা। পুলিশ সদস্যরাই মূলত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে রাঙিয়ে তোলেন। তার পূর্ণতা দেয় ঢাকা থেকে আগত অতিথি শিল্পী তিন ভাই-বোন। যশোর থেকে আগত সোহেল রানা কমিডিয়ান গানের সাথে সাথে নেচে মাতিয়ে তোলেন সকলকে। ক্ষুদে দু গানরাজ প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী ও নিলয় চৌধুরীসহ তাদেরই বড় ভাই ক্লোজআপ প্রতিযোগিতায় শীর্ষ দশে ওঠা নোবেল চৌধুরী। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল ইসলাম, পিপি অ্যাড. সামসুজ্জোহা, সাবেক অধ্যক্ষ এসএম ইস্রাফিল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হযরত আলী, ভাইস চেয়ারম্যান কহিনূর বেগম, মেডিকেল অফিসার ডা. সউদ কবীর মালিক জন প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সার্বিক দিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার। ডিআইওয়ান, চুয়াডাঙ্গার ৪টি থানার অফিসার ইনচার্জ ও ওসি (তদন্ত) অতিথিদের স্বাগত জানানোর পাশাপাশি অনুষ্ঠানের পূর্ণতা দিতে পুলিশ সুপারকে সহযোগিতা করেন। উপস্থাপনায় ছিলেন রংপুরের শাহাবুদ্দিন। যার উপস্থাপনা কৌশল দেখে হানিফ সঙ্কেত বলেই ডাকে।