বছরের শুরুতেই নির্বাচনী উত্তাপ যুক্তরাজ্যে

মাথাভাঙ্গা মনিটর: আগামী ৭ মে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে বছরের প্রথম কার্যদিবসেই নির্বাচনি প্রচারণা নিয়ে তুমুল বিতর্কে জড়িয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের প্রকাশ করা প্রথম নির্বাচনী পোস্টারে মিথ্যা তথ্য দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দল লেবার পার্টি। তবে পাল্টা যুক্তি দিয়ে নিজ অবস্থানে অনড় থেকেছে কনজারভেটিভ দল। নববর্ষের প্রথম দিন অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবার ছিলো যুক্তরাজ্যে সরকারি ছুটির দিন। পরদিন শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পশ্চিম ইয়র্কশায়ারে এক সভায় নিজ দল কনজারভেটিভের প্রথম নির্বাচনী পোস্টার প্রকাশ করেন। আসুন শক্তিশালী অর্থনীতির পথে অটল থাকি স্লোগান সংবলিত পোস্টারে দাবি করা হয়েছে, বর্তমান সরকার বাজেট ঘাটতি অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে। ক্যামেরন নিজেও তার ভাষণে তেমনটি দাবি করে বলেছেন, এবার জয়ী হলে আগামী পাঁচ বছরে তিনি বাজেট ঘাটতি শূন্যে নামিয়ে আনবেন। এই পরিকল্পনার যেকোনো বিকল্প অর্থনীতির জন্য বিপর্যয়কর হবে বলে তিনি দাবি করেন। ওই পোস্টার বিলবোর্ড আকারে সমগ্র দেশে সাঁটানো হবে। এমনিতে রক্ষণশীল কনজারভেটিভ দলের ব্যয় সংকোচননীতি নিয়ে বিভিন্ন মহলে অসন্তোষ রয়েছে। তার ওপর বাজেট ঘাটতি নিয়ে এমন দাবি নতুন করে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। সমালোচকেরা বলছেন, মিথ্যা গল্প দিয়ে কনজারভেটিভ দলের প্রচারাভিযান শুরু করা ঠিক হয়নি। পোস্টারে ল্যাম্প পোস্ট ও ট্রাফিক লাইনবিহীন যে পিচঢালা রাস্তা আর সবুজ প্রকৃতি তুলে ধরা হয়েছে তা-ও অবাস্তব বলে সমালোচনা করেছেন কেউ কেউ। তবে লেবার দলের ছায়ামন্ত্রী ক্রিস ব্রায়ান্টের মতে, প্রথম পোস্টারেই টোরি দলের এমন ভুয়া প্রচারণা তাদের জন্য খানিকটা দুশ্চিন্তার। তিনি বলেন, ২০১০ সালের দিকে বাজেট ঘাটতি সর্বোচ্চ ১৫৩ বিলিয়ন পাউন্ডে পৌঁছায়। বর্তমানে তা ৯১ বিলিয়ন পাউন্ডের কাছাকাছি রয়েছে। এটাকে কোনোভাবেই অর্ধেক বলা যায় না।