বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করায় ইবি শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের মারধর : পুলিশে সোপর্দ

ইবি প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন ও ছাত্রলীগের দলীয় টেন্টে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। মারধরের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মেহেদী হাসান হীরা নামের ওই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।
জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের একটি গ্রুপে বাংলা বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোস্তফা কামাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দেয়। প্রধানমন্ত্রীর ওই ছবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে বাজে মন্তব্য করে বাংলা বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান হীরা। প্রধানমন্ত্রীর ছবিতে বাজে মন্তব্য করার খবর শুনে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের করিডোরে হীরাকে ব্যাপক মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। করিডোরে মারার পর ছাত্রলীগের দলীয় টেন্টে এনে তাকে দ্বিতীয় দফায় মারধর করে তারা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার দাস, সহসভাপতি মিজানুর রহমান মিজু নেতাকর্মীদের মারধর থেকে নিবৃত করার চেষ্টা করে। ঘটনার একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ছেলেটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করে বলে প্রত্যক্ষদশীরা জানিয়েছেন। পরবর্তীতে প্রক্টর ছেলেটিকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিজ অফিসে নিয়ে যায়। বিকেলে ওই ছাত্রকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে সোপর্দ করা হয়। ওই ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করায় মেহেদী হাসান হীরা নামের এক ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। ওই ছেলে এর আগে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ করে জাঁকজমকভাবে ক্যাম্পাসে তার ভুয়া জন্মদিন উদযাপন করে। ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করায় ছাত্রলীগ সাধারণ ছাত্রদের সাথে নিয়ে গণপিটুনি দিয়ে প্রক্টরের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।