প্রায় ২ কোটি ব্যয়ে নির্মাণের চার বছর পরও দর্শনা অডিটরিয়াম সেন্টার ও ডাকবাংলো ভবন হস্তান্তর ও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়নি

দর্শনা অফিস: মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে এক মনোরম পরিবেশে গড়ে ওঠা দর্শনা শিল্প শহর। এখানে রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান কেরুজ চিনিকল। প্রতিবেশী দেশের সাথে সরাসরি ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন, বন্দরস্টেশন, কাস্টমস, সরকারি কলেজসহ বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। যে কারণে চুয়াডাঙ্গা জেলার মধ্যে দর্শনা গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে দেখা হয়। ১৯৯১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উন্নীত হয়ে পৌরসভায় পরিণত হয় দর্শনা। স্বাধীনতা যুদ্ধের ৩ যুগ পরেও গুরুত্বপূর্ণ শহর দর্শনায় ছিলো না সভা, সমাবেশ, সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য কোনো মঞ্চ। ছিলো না কোনো অডিটরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টার। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে দর্শনায় সফরে আসেন তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা দর্শনা মেমনগর বিডি মাধ্যমিক

DARSANA PIC (1)

বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র আনোয়ারুল ইকবাল। দর্শনা সফরকালে তিনি দর্শনা শহরে উন্নয়নমূলক কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তারই অংশ হিসেবে তিনি দর্শনা মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অডিটরিয়াম, দর্শনা ডাকবাংলো চত্বরে অডিটরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টার ও অতিথি ভবন নির্মাণের ঘোষণা দেন। সে সময় প্রায় ২ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণালয়ের অর্থায়নে জেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় অডিটরিয়াম নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন তৎকালীন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোখলেসুর রহমান। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর, তৎকালীন দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের তদারকিতে দ্রুত অডিটরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টার ও দ্বিতল ভবনের ডাকবাংলো নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয়। প্রায় সোয়া ১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দর্শনা অডিটরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টার ও প্রায় ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ডাকবাংলো ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে কয়েক বছর আগে। কিন্তু তা হস্তান্তর বা উদ্বোধন করা হয়নি। ৫শ আসন বিশিষ্ট দর্শনা অডিটরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টারে এখনো সাউন্ড সিস্টেম, ডেকোরেশন, বিদ্যুত সংযোগ, সীমানা পাঁচিল, গাড়ি পার্কিংসহ আনুসাঙ্গিক বেশ কিছু কাজ বাকি রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। কবে নাগাদ এ সব কাজ সম্পন্ন হবে তা নির্দিষ্টভাবে কেউ বলতে পারেনি। এ দিকে দ্বিতল ভবনের ডাকবাংলোটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও আনুসাঙ্গিক কাজ বাকি রয়েছে। ফলে এ দুটি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৩/৪ বছর ধরে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। অবিলম্বে এ প্রতিষ্ঠান দুটির প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, লোকবল নিয়োগসহ উদ্বোধনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগরসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তাদের দৃষ্টি কামনা করেছে দর্শনাবাসী।