প্রাথমিকে প্যানেলভুক্তরা আরেক দফায় নিয়োগ পাচ্ছেন

স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয়করণ হওয়া বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের মধ্যে থেকে আরেক দফায় শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। এ দফায় পুরোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে যে পরিমাণ বেশি শিক্ষক জাতীয়করণ হওয়া বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে এসেছেন, শুধু সেই পরিমাণ পদে প্যানেল থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ করা হবে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যদি কোনো উপজেলায় পুরোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জাতীয়করণ হওয়া বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে এসেছেন ৫ জন এবং জাতীয়করণ হওয়া বিদ্যালয় থেকে পুরোনো সরকারি বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে এসেছেন ৩ জন। সে ক্ষেত্রে ওই উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি পদে প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া যাবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর গতকাল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আদেশ জারি করেছে। এ নিয়ম মেনে ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগ ও পদায়ন করতে ৬১ জন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছে অধিদফতর। আদেশে আরও বলা হয়, জাতীয়করণ বিদ্যালয়ে পদ শূন্য হলে ওই সব শূন্য পদে নিয়োগ কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে। উচ্চ আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য প্যানেলভুক্ত প্রায় ২৮ হাজার জনকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার ঘোষণা দিয়ে কাজ করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী ইতোমধ্যে কয়েক হাজার নিয়োগও হয়েছে। কিন্তু শূন্য পদের জটিলতায় প্যানেলভুক্ত সবাই নিয়োগ পাননি। বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের আগের নির্দেশনা মেনে জাতীয়করণ হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে এই নিয়োগ দিতে গিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা দেখেন, প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের চেয়ে পদ কম।

এ নিয়োগ নিয়ে আন্দোলন করে আসা প্রাথমিক প্যানেল শিক্ষক ঐক্য পরিষদের নেতারা অভিযোগ করে আসছেন, সদ্য জাতীয়করণ হওয়া বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পুরোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বদলি করে অনেক শূন্য পদ পূরণ করা হয়েছে। এ কারণে প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের সুযোগ কমে যায়।

২০১০ সালের ১১ এপ্রিল রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ৪২ হাজার ৬১১ জনকে নিয়োগের জন্য একটি প্যানেল গঠন করা হয়। সবাইকে নিয়োগ দেয়ার ঘোষণা দিলেও কয়েক হাজারকে নিয়োগ দেয়ার পর ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলে প্যানেল থেকে নিয়োগ দেয়া বন্ধ করে দেয় সরকার। এরপর নিয়োগবঞ্চিত ও প্যানেলভুক্ত প্রার্থীরা আদালতে যান। আদালত তাদের পক্ষে রায় দেন। সে অনুযায়ী এখন নিয়োগ-প্রক্রিয়া চলছে।