প্রাণীর প্রেমপ্রীতি

মাথাভাঙ্গা মনিটর: সৃষ্টির শুরু থেকেই মানব-মানবীর প্রেম। এরপর কতো যমুনা বয়ে গেছে। রচিত হয়েছে কতো মহাকাব্য। প্রেমের রাজ্যে প্রাণীরাও নেই পিছিয়ে। প্রাণিবিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের মতোই প্রেমে মজে প্রাণীরা। একেক প্রাণীর প্রেমের প্রকাশ একেক রকম। প্রাণীর সেসব প্রেমলীলা মানুষকে করে বিস্মিত। প্রাণিবিজ্ঞানীদের বরাতে একটি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিভিন্ন প্রাণীর প্রেমপ্রীতির কিছু নমুনা দেয়া হয়েছে। পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো।

পেঙ্গুইন: পেঙ্গুইন দম্পতির মধ্যে ভালোবাসার ক্ষেত্রে যোগাযোগটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পেঙ্গুইনরা সব সময় নিজ সঙ্গীর সাথে থাকে। এর ব্যতিক্রম ঘটে শুধু শিকার ও তীব্র শীতের সময়। এক জুটি অন্য জুটির সাথে সময় কাটিয়ে দাম্পত্যের নানা কৌশল রপ্ত করে।

ফ্রেন্স অ্যাঞ্জেল ফিশ: ফ্রেন্স অ্যাঞ্জেল ফিশ নামের মাছেরাও সব সময় নিজ সঙ্গীর সাথে থাকে। ঘুরে বেড়ানো, খাদ্য শিকার, আমোদ সবকিছুতেই সঙ্গীর সঙ্গ চাই তাদের। সঙ্গী ছাড়া এক মুহূর্তও তাদের কাটে না। তাদের এ বন্ধন অটুট থাকে আমৃত্যু।

কালো শকুন: সঙ্গীর ব্যাপারে কালো শকুন জাতীয় পাখি বেশ তত্পর। তারা বছরের পর বছর একসাথে কাটায়। পরস্পর ভাগাভাগি করে নেয় বাচ্চা লালনপালনের দায়িত্বভারও। এদের পারিবারিক বন্ধন তুলনামূলকভাবে দৃঢ়।

বানর: অন্য অনেক প্রাণীর চেয়ে বানর সাধারণত বেশি সামাজিক। তাই বানর জুটির মধ্যকার ভালোবাসার সম্পর্ক চোখে পড়ার মতো। বানর জুটিরা কিছুটা ভিন্ন কায়দায় পরস্পরের প্রতি ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশ করে। লড়াই শেষে তারা সঙ্গীর সাথে শান্তি স্থাপন করে। জিহ্বা দিয়ে একজন আরেকজনের শরীরের লোম ও চামড়া পরিষ্কার করে দেয়। ইনিয়ে-বিনিয়ে নানা শব্দ করে।

কৃষ্ণসার মৃগ: গবেষকেরা দেখেছেন, পুরুষ মৃগ ডালপালা দিয়ে আচ্ছাদন তৈরি করে তার নারী সঙ্গীর শরীরের সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়া ব্যাহত করে। অন্য পুরুষ মৃগ যাতে নারী সঙ্গীটির সন্ধান না পায়, সে জন্যই এ উদ্যোগ। একইভাবে নারী মৃগও তার পুরুষ সঙ্গীর বাইরে অন্য পুরুষ মৃগের সাথে মেলামেশায় তেমন একটা আগ্রহ দেখায় না।

রাজহাঁস: ভালোবাসার মূর্ত প্রতীক রাজহাঁস জুটি। তাদের ভালোবাসার মধ্যে কোনো খাদ নেই। সারা জীবনের জন্যই তারা সঙ্গী নির্বাচন করে। কোনো সঙ্গী মারা গেলে, অপর সঙ্গীর বাকি জীবন বিরহে কাটে। সঙ্গীহারা রাজহাঁসটি আর কোনো সঙ্গী খুঁজতে যায় না। যতোদিন বাঁচে, একাকি কাটিয়ে দেয়। পরস্পর বারবার মাথা ওঠা-নামা করা এদের ভালোবাসার বহির্প্রকাশ। জলেভাসা রাজহাঁসের পরস্পর মাথা নিচু করে ঠোঁটের সাথে ঠোঁট লাগানো, বুকের সাথে বুক মেশানো হৃদয় আকৃতির ভঙ্গিমা ভালোবাসার অনন্য প্রতীক।

বিড়াল: বিড়াল জুটিরা একে অপরের প্রতি যত্নশীল। জিহ্বা দিয়ে সঙ্গীর শরীরের লোম ও চামড়া পরিষ্কার করে ভালোবাসা দেখায় এ প্রাণী।

জিরাফ: স্ত্রী সঙ্গীর পাশে থেকে খাবার গ্রহণ ও তার শরীরের দিকে ঘাড় বাঁকিয়ে পুরুষ জিরাফ সাধারণত প্রেমের ভাব করে।