প্রভাবশালীদের দখলে এখন মহেশপুরের ঐতিহ্যবাহী মাইকেল মধুসুধন দত্তের কপোতাক্ষ নদ : এলাকাবাসির দাবি উচ্ছেদ ও পুনর্খননের

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুরের ঐতিহ্যবাহী মাইকেল মধুসুদন দত্তের কপোতাক্ষ নদ প্রভাবশালীদের দখলে। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ ও পূনসর্খননের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। কপোতাক্ষ নদ বর্তমানে অবৈধ দখলদারদের আবাদী জমি, পুকুর ও বিল্ডিঙে পরিণত হয়েছে। মাইকেল মধুসুধন দত্তের কপোতাক্ষ নদ যেন কেঁদে কেঁদে বলছে মোরে বাঁচাও আমি বুক ভরা পানি চাই, আমাকে পানি দাও। আমাদের সমাজের সচেতন ব্যক্তিরা একবারও ভাবে না বা ভাবার চিন্তাও করে না কেমন আছে কপোতাক্ষ নদ? কেমন আছে নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করা জেলেরা। মহেশপুরের বুক চিরে প্রবাহিত হয়েছে মহাকবি মাইকেল মদুসুধন দত্তের কপোতাক্ষ নদটি। এককালে প্রচুর বাণিজ্য সমৃদ্ধ ছিলো মহেশপুর ঐ কপোতাক্ষ নদের কারণে। পূর্বের মুরব্বীরা বলতেন এই নদে এক সময় কোলকাতা থেকে জাহাজ চলাচল করতো। এই কপোতাক্ষ নদে জেলেরা মাছ শিকার করে, মাঝিরা নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে সংসার চালাতেন। সাধারষণ মানুষ টাটকা মাছ শিকার করে খেতেন।
ইংরেজরা গুরুত্ব বুঝে ১৮৬৯ সালে একটি পৌরসভা ও একটি ডাক বাংলো ঘোষণা করেন। ১৮৬৯ সাল থেকে ১৮৮০ সাল পর্যন্ত পৌর চেয়ারম্যান ছিলেন পিবি মার্টিন। বর্তমানে সেই কপোতাক্ষ নদ আর নেই, নদের দু পাশে গড়ে উঠেছে অবৈধভাবে বড় বড় বিল্ডিং প্রভাবশালী ও ভূমি দস্যু দখল দাররা দখল করে খনন করেছেন পুকুর ও আবাদী জমি হিসেবে চার্ষাবাদ করছে তারা। এছাড়া মাটি ভরাট করে গড়ে তুলছেন বিভিন্ন দোকান, ক্লিনিক ও বসত বাড়ি। যে নদে এক সময় নৌকা দিয়ে চলাচল করতো মানুষ বর্তমানে পায়ে হেঁটে চলাচল করছে। নদ যত ছোট হয়ে আসছে অবৈধ দখলদ্বারদের সংখ্যা ততো বাড়ছে। ভূমি দস্যুরা বিলিন করে দিচ্ছে কপোতাক্ষ নদের সন্দর্য্য বেকার হয়ে পড়ছে জেলে সম্প্রদায়ের লোকেরা। বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ টাটকা মাছ খাওয়া থেকে। ফলে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আয়। বিলিন করে দিয়েছে দূষণ মুক্ত পরিবেশ ও নদের সন্দর্য্য। জিরো থেকে হিরো বনে যাচ্ছে অবৈধ্য দখল দাররা। সরকারি উদ্যোগে মহেশপুরের ঐতিহ্য ফিরিয়ে দিতে কপোতাক্ষ নদটি পূনর্খননের জন্য সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।