দেশের টুুকিটাকি : প্রবীণ রাজনীতিবিদ অজয় রায় আর নেই

প্রবীণ রাজনীতিবিদ অজয় রায় আর নেই

স্টাফ রিপোর্টার: সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদবিরোধী মঞ্চের সমন্বয়ক  এবং সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি অজয় রায় আর নেই। গতকাল সোমবার ভোরে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৯ বছর। অজয় রায়ের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে তার মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতে থাকেন। সন্তানরা ফিরলেই বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। অনেক দিন ধরেই অজয় রায় অসুস্থ ছিলেন। তিনি নিউমোনিয়া, কিডনি, হৃদ্রোগসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, আগামী ১৯ অক্টোবর বুধবার অজয় রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার মরদেহ সকাল ১০টায় নেয়া হবে। তার ইচ্ছা অনুযায়ী মরদেহ দাহ না করে সমাধিস্থ করা হবে। নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জলির পর তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই তাকে সমাধিস্থ করা হবে।

এক ইলিশের জন্য জরিমানা পাঁচ হাজার টাকা

স্টাফ রিপোর্টার: একটি ইলিশ মাছ রাখার দায়ে চট্টগ্রামের ফিসারিঘাটের এক দোকানিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল  সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই অর্থদণ্ড দেন। ওই দোকানির নাম মো. আলী। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম মো. ফোরহান এলাহী অনুপম। এ সময় জেলা মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন চৌধুরী এবং পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ফোরহান এলাহী অনুপম বলেন, ‘ফিসারিঘাটের বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালিয়েছি। একটি দোকানে সামান্য পরিমাণ ইলিশ পাওয়া গেছে। তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।’ অভিযান-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মো. আলীর দোকানে একটি ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। এ সময় মো. আলী আদালতকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, তার কর্মচারী ভুলবশত একটি মাছ বাসায় না নিয়ে দোকানে রেখে দিয়েছিলেন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ রাখার কারণে তাকে জরিমানা করা হয়। ১২ অক্টোবর থেকে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, বিপণন এবং মজুতকরণের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে ২২ দিন এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

কবর খুঁড়ে ইমামের মাথা কেটে নেয়ার চেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার: কবর খুঁড়ে মসজিদের ইমামের মরদেহ থেকে মাথা কেটে নেয়ার চেষ্টাকালে হাতেনাতে দুজনকে আটক করা হয়েছে। গত রোববার রাতে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ভিকনী গ্রামে এ অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভিকনী গ্রামের মসজিদের ইমাম মোসলেম উদ্দিন গত শনিবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়। পরদিন রোববার সকাল ১০টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। রাতে স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলম ও  বিপুল হোসেন নামে দুই ব্যক্তি গোপনে তার (ইমাম) কবর খুঁড়ে মরদেহ বের করার সময় গ্রামবাসী তাদের হাতেনাতে আটক করে। এলাকাবাসী উত্তম-মধ্যম দিলে যুবকরা জানায় তারা ইমামের মরদেহ থেকে মাথা কেটে নিয়ে বিভিন্ন কুফরি কালামের (জাদুটোনা) কাজে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছিল। পরে গ্রামবাসী তাদেরকে আক্কেলপুর থানা পুলিশে সোপর্দ করে। আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  সিরাজুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সহপাঠীর ছুরিকাঘাতে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার: সুনামগঞ্জের ছাতকে সহপাঠীর সাথে ঝগড়াকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে আল আমিন নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দুই শিক্ষার্থী। আল আমিন ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় তার সহপাঠী আক্কাস আলীকে পুলিশ আটক করেছে। আল আমিন জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পলিরচর গ্রামের কাছা মিয়ার ছেলে। আর আক্কাস ছাতক উপজেলার চরমহলা ইউনিয়নের চনুয়া গ্রামের রসিক আলীর ছেলে। পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, আল আমিন ও আক্কাস আলী দুজনই জাউয়াবাজার এলাকার দেবেরচর গ্রামে অন্যের বাড়িতে লজিং থেকে কলেজে লেখাপড়া করেন। কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল গফফার জানান, আজ বেলা ১১টার দিকে আক্কাস তাঁর কক্ষে গিয়ে জানান আল আমিন তাঁকে মারধর করেছেন। এ সময় আক্কাস তাঁর গলায় ও কপালে রক্ত দেখায়। ততোক্ষণে আল আমিন কলেজ থেকে চলে গিয়েছিল। পরে অধ্যক্ষ আক্কাস আলীকে বিষয়টি আগামীকাল মঙ্গলবার দেখে দেবেন বলে আশ্বাস দেন এবং এ নিয়ে আর কোনো ঝগড়া না করতে বলেন।