প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য হাইকোর্টের নজরে দেয়া হয়েছে

 

স্টাফ রিপোর্টার: হাইকোর্টকেনিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্য আদালতের নজরে এনেছেন একআইনজীবী। ওই আইনজীবী আদালতে বক্তব্যটি পড়ে শুনিয়েছেন। একপর্যায়ে হাইকোর্টবলেছেন, পত্রিকাটি দেন, আমরা দেখবো।হাইকোর্ট বেঞ্চ পত্রিকাটি দেখেছেনকিন্তু কোনো আদেশ প্রদান বা মন্তব্য করেননি। গতশনিবার গণভবনে সংবাদসম্মেলনে নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাকেগ্রেফতার বিষয়ে দেয়া আদেশ নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববারএকটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য হাইকোর্টের বিচারপতিমির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকার সমন্বয়ে গঠিতবেঞ্চের কাছে তুলে ধরেন আইনজীবী তামজিদা মিলা। তামজিদা মিলা বলেন, সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের অংশবিশেষ আদালতকে পড়েশোনানো হয়েছে। কনটেম্পট অব কোর্ট হলে আই ডোন্ট কেয়ার বলে প্রধানমন্ত্রীরবক্তব্য ওই প্রতিবেদনে এসেছে। তিনি বলেন, আদালত অবমাননার বিষয়টি একটিগুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটার ভয়ে অনেকে হাইকোর্টের আদেশ মেনে থাকেন। সবার জন্যআদালত অবমাননার বিষয়টি একটি ভীতিকর ব্যাপার। কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রীযখন বলেন, আদালত অবমাননা, আই ডোন্ট কেয়ার। তখন সাধারণ জনগণ আদালত অবমাননাকেকীভাবে দেখবে! জনগণের মন থেকে আদালত অবমাননার ভীতিটা নষ্ট হয়ে যাবে। কেউআদালতের আদেশের ভয় পাবে না। তিনি বলেন, সকালে প্রতিবেদনটা উপস্থাপনকরেছিলাম। পরে দুপুরে আদালতকে জিজ্ঞেস করলে আদালত বলেছেন, আমরা পত্রিকাটিদেখেছি এবং দেখবো।জাপান থেকে ফিরে গত শনিবার বিকেলে গণভবনে একটি সংবাদসম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। এসময় তিনি জাপান সফরের অর্জন, ভারতের সাথে সম্পর্ক, আসন্ন চীন সফর, বিদেশিবন্ধুদের দেয়া ক্রেস্টে সোনা কম থাকা, র‌্যাব বিলুপ্তির প্রসঙ্গ, নারায়ণগঞ্জ ওফেনীর নৃশংস ঘটনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন।নারায়ণগঞ্জেসাত খুনের ঘটনার পর র‌্যাব বিলুপ্তির দাবি প্রসঙ্গে জবাব দিতে গিয়েপ্রধানমন্ত্রী উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চের সমালোচনা করেন। তদন্ত চলাকালে তিনর‌্যাব কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করতে উচ্চ আদালতের দেয়া আদেশ নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কীভাবে অর্ডারদেয়, গ্রেফতার করেন। ওই জজ সাহেবের কাছে নিশ্চয়ই তথ্য আছে। দু জজের কাছেতথ্য থাকলে দিন। তদন্তে সহায়তা করুন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই বেঞ্চের জজসাহেবরাই তদন্ত করবেন। তারাই বিচার করবেন। এ সময় সাংবাদিকদের দিকে তাকিয়েহাসতে হাসতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কী, কনটেম্পট করবে?আমি পরোয়া করি না।আমার কথা কঠোর হয়ে যাচ্ছে?বাস্তব কথা কঠোরই হয়, বলেন শেখ হাসিনা।

উল্লেখ্য, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকার সমন্বয়েগঠিত বেঞ্চ নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় তিন র‌্যাব কর্মকর্তাকে আইনের কোনো ধারায়মামলা না হলেও ৫৪ ধারায় (সন্দেহজনকভাবে) গ্রেফতারের আদেশ দিয়েছিলেন।