প্রতারিত ৫ জনকে নিজের নামের জমি লিখে দিয়ে মুক্ত হলো আলমডাঙ্গার ফরিদপুরের আদমব্যবসায়ী ফিরোজ

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: প্রতারিত ৫ জনকে নিজের নামের জমি লিখে দিয়ে মুক্ত হলো আলমডাঙ্গার ফরিদপুরের অভিযুক্ত আদম ব্যবসায়ী ফিরোজ উদ্দীন। দীর্ঘ ৮/৯ বছর পর প্রতারিতরা তাকে বাগে পেয়ে আটক করে গতকাল সালিস করে জমি লিখে নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের মসলেমের ছেলে ফিরোজ উদ্দীন (৩৬) এক সময় মালয়েশিয়ায় থাকতো। প্রায় ৮/৯ বছর পূর্বে সে বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরে আদম ব্যবসা শুরু করে। মালেশিয়া পাঠানোর কথা বলে আত্মীয়-স্বজনদের নিকট থেকে সে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে দীর্ঘদিন ঢাকায় আত্মগোপন করে ছিলো। কখন কখন ঢাকায় গার্মেন্টস-এ কাজ করলেও বার বার ঠিকানা পরিবর্তন করায় কেউ তাকে ধরতে পারতো না। গত প্রায় ৮ বছর সে বাড়িতে আসে না। সম্প্রতি আদম ব্যবসায়ী ফিরোজ এলাকায় ফিরে পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়ার ইবি থানার গাংদী গ্রামের এক আত্মীয় বাড়ি অবস্থান করছিল। বিষয়টি আদম ফিরোজের ফুফা প্রথমে জানতে পারেন। আদম ফরিদ অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের মত তার সাথেও প্রতারণা করেছে। ফিরোজের ফুফা একই গ্রামের কুদ্দুস আলি গ্রামের অন্যান্য প্রতারিতদের নিকট তার অবস্থানের সংবাদ জানিয়ে দেন। গতকাল দুপুরে ৫ প্রতারিত মিলে ইবি থানার গাংদী গ্রাম থেকে আদম ফিরোজকে তাড়িয়ে ধরে অটোবাইকে করে আলমডাঙ্গায় নিয়ে আসে। এ প্রতারিতরা হলেন ফরিদপুর গ্রামের মৃত আফিলের ছেলে রেজাউল হক, আমিরুলের ছেলে শামীম, মৃত আকবর আলির ছেলে সুজাউল, ডামোশ গ্রামের আজগর আলির ছেলে শান আলি ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের কাথুলীর নজরুল ইসলাম। এ প্রতারিতরা জানিয়েছেন, প্রায় ৮/৯ বছর পূর্বে মালেশি নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আদম ফিরোজ তাদের নিকট ১ লাখ ৫৫ হাজার করে টাকা নিয়েছিল। পরে তাদেরকে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা নিজেই ঢাকায় আত্মগোপন করেছিল।

গতকাল আদম ফিরোজকে আটকে রেখে সংশ্লিষ্ট বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় সালিশ বৈঠক বসে। সালিসে আদম ফিরোজ নিজের অপকর্মের কথা স্বীকার করে তার নিজ নামে থাকা প্রায় ১ বিঘা জমি প্রতারিতদের নামে লিখে দিতে সম্মত হয়। পরে সালিসের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গতকালই প্রতারিত ৫ জনের নামে জমি লিখে দিয়ে প্রতারক আদম ফিরোজ মুক্তি পেয়েছে।