প্রচার-প্রচারণার ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুদের

1441,0,0,0,356,256,353,1,0,130,50,0,0,100

 

খাইরুজ্জামান সেতু: দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবার নির্বাচনে ২০ চেয়ারম্যানসহ ১৭৭ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দিন-রাত গণসংযোগ আর ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রার্থীরা। আগামী ৩১ মার্চ আলুকদিয়া, মোমিনপুর, পদ্মবিলা ও কুতুবপুর ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রার্থীরা আচরণ বিধি মেনে চলছেন কি-না তা দেখার জন্য ৪ ইউনিয়নের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার এসি ল্যান্ড মারুফুল আলমকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এ নির্বাচনে শিশুদেরকে প্রচার-প্রচারণার ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

                চুয়াডাঙ্গার ৪টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের সাথে দু দলের বিদ্রোহী জামায়াতে ইসলামীর (স্বতন্ত্র) প্রার্থীদের সাথে জয়ের জন্য লড়তে হবে। ইতোমধ্যেই প্রতীক বরাদ্দ শেষ হয়েছে। এখন চলছে প্রচার প্রচারণা। ৪ ইউনিয়নে এক নারী প্রার্থীসহ ২০ চেয়ারম্যান, ৩৩ সংরক্ষিত সদস্য এবং ১২৪ জন সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

৪ ইউনিয়ন এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে পথবৈঠক-উঠানবৈঠকসহ দিন-রাত ভোট প্রার্থনা করতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রার্থীরা। সাথে প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলছেন। কেউ কেউ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। ভোটাররা বলছে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে অবশ্যই নিজের ভোটটা যোগ্য প্রার্থীকেই দেবো।

জেলা প্রশাসনসূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই গত ১৩ মার্চ থেকে নির্বাচনে প্রার্থীরা আচরণ বিধি মেনে চলছে কি-না তা দেখার জন্য ৪ ইউনিয়নের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার এসি ল্যান্ড মারুফুল আলমকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। তাকেও ঘুরতে দেখা গেছে নির্বাচনের মাঠে। যেসব এলাকার দেয়ালে বা গাছে পোস্টার লাগানো আছে সে সব এলাকার দেয়াল বা গাছ থেকে পোস্টার অপসারণ করা হচ্ছে।

আগামী ২৯ মার্চ থেকে ৪ ইউনিয়নের জন্য ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হবে এবং তাদের সমন্বয়ে গঠন করা হবে স্ট্রাইকিং ফোর্স। সম্প্রতি সরেজমিন ঘুরে আরো দেখা গেছে চুয়াডাঙ্গার পদ্মবিলা ইউনিয়নের মেম্বার প্রার্থী তার ফুটবল প্রতীকের পোস্টার টানানোর জন্য শিশুদের ব্যবহার করছেন। পোস্টার টানানোর জন্য শিশুদের গাছে পর্যন্ত তোলা হয়েছে। এছাড়াও একই ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার প্রার্থী তার মাইক প্রতীক সম্বলিত পোস্টার টানানোর জন্য শিশুদের ব্যবহার করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকাতে প্রচার-প্রচারণার ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুদের ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার সদর  উপজেলার পদ্মবিলা ও কুতুবপুর ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং অফিসার সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আব্দুল্লাহ আল সামী জানান, এ বিষয়ে অথবা কোনো বিষয়ে এখনও পর্যন্ত লিখিত বা মৌখিক কোনো অভিযোগ পাইনি, পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেবো। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামান জানান, নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু আছে। ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত থাকবে বলে আশা করছি।