পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে নিয়ে সেনা সদস্যের শিশুস্বর্গে বসে গল্প

আটক করলো চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ 

 

স্টাফ রিপোর্টার: স্বামীর পাশে শুয়েই পরপুরুষের সাথে মোবাইলফোনে ফিস ফিস করে গল্প করে শেষ রক্ষা করতে পারেনি পুলিশের স্ত্রী বন্যা ওরফে রুবী। মাত্র ৯ মাস আগে বিয়ে। গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের শিশুস্বর্গে সেনা সদস্য মেহেদী হাসান মিঠুর সাথে গায়ে গা ঘেঁষে বসে গল্প করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে। দুজনকেই গতরাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা কাস্টডিতে রাখা হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ বলেছে, মেহেদী হাসান মিঠু আলমডাঙ্গা গোবিন্দপুরের হাজি মহিউদ্দীনের ছেলে মেহেদী হাসান মিঠু নিজেকে সেনা বাহিনীর সদস্য বলে পরিচয় দিয়েছেন। ফলে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেনাবাহিনীর টিমের হাতেই তাকে তুলে দেয়া হবে। আর পুলিশ সদস্য ধান্যঘরার জাহিদের স্ত্রী জান্নাতুল মাওয়া বন্যা ওরফে রুবীকে আজ রোববার আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে। এ রকমই প্রস্তুতি চলছে। বন্যা ওরফে রুবী চণ্ডিপুরের আশরাফুল ইসলাম আশরাফের মেয়ে। মাত্র ৯ মাস আগে জাহিদের সাথে বিয়ে হয় তার। জাহিদ বাগেরহাট জেলা পুলিশে কনস্টেবল পদে কর্মরত। সে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরে গতপরশু স্ত্রীকে নিয়েই নিজ বাড়িতে ছিলেন। ভোররাতে মোবাইলফোনে ফিস ফিস করে কোনো একজনের সাথে কথা বলছে শুনে কৌশলী হন। সকালে স্ত্রী জখন কলেজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়, তখন স্বামী কৌশলে পিছু নেয়। শিশুস্বর্গে বসে গল্প করার দৃশ্য দেখে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করে। দুজনকেই থানায় নিয়ে আটকে দেয়া হয়।

সূত্র বলেছে, রুবীর সাথে মেহেদী হাসান মিঠুর মোবাইলফোনেই পরিচয়। গতকাল দুজন গল্প করতে বসে বেকায়দায় পড়েছে।