পানবরজ পুড়িয়ে দেয়ার পর এবার ৫ লক্ষাধিক টাকার মাছের ক্ষতিসাধন : দিশেহারা ভূক্তভোগী নইমদ্দিন

ভালাইপুর/খাদিমপুর প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার খাদিমপুর গ্রামের পানবরজ আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার চার দিনের মাথায় আবারও পুকুরে বিষ প্রয়োগে ৫ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করা হয়েছে। এ ক্ষতিতে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন ভুক্তভোগী নইমদ্দিন। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে পরদিন আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও আগামীকাল সন্দেহভাজন দু’জনের নামে মামলা করবেন বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত নইমদ্দিন।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর গ্রামের মৃত আলফা উদ্দিনের ছেলে নইমদ্দিনের খাদিমপুর খেড়কাটি বিল সংলগ্ন ৪ বিঘা জলকারে কে বা কারা শত্রুতামূলকভাবে গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মাছ মেরে ফেলে এবং গত শুক্রবার ২শ’ পিলি পানবরজ পুড়িয়ে দেয়া ও পুকুরের গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ মেরে ফেলায় বাড়ি ফেরার পথে স্ট্রোক করেন পুকুর মালিক ও পানবরজ চাষি নইমদ্দিন। ওই সময় মাঠের থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ওইদিন নইমদ্দিনের ছেলে আলমডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলেও চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে নইমদ্দিন জানান পূর্বে জমিজমা নিয়ে আমার সাথে যারা শত্রুতা করেছে তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আগামীকাল এ বিষয়ে দুজনের নামে মামলা করবেন বলে জানান।
এদিকে গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন, একই ব্যক্তির গত এক সপ্তাহের মধ্যে দুটি ক্ষতি, যা ষড়যন্ত্র বা শত্রুতামূলক ছাড়া কিছুই না। প্রশাসনের উচিত বিষয়টি খতিয়ে দেখে এই ধরনের দুঃস্কৃতিকারীর বিরুদ্ধে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে একই ব্যক্তির শত্রুতামূলকভাবে দুস্কৃতকারীরা ২০০ পিলা পানের বরজ পুড়িয়ে দিয়ে প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করেন। আবার গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে ৪ বিঘা জলকারে মাছ মেরে দেয়ায় সব হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত নইমদ্দিন দিশেহারা হয়ে স্ট্রোক করে পাগল প্রায়। এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করে বলেন, যারা নইমদ্দিনের মতো একজন সাধারণ চাষির ক্ষতি করতে পারে তারাই পূর্বের পানবরজ পুড়ে যাওয়া ও মাঝে মাঝে পুকুরে বা বিলে মাছ মারার ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। এই চক্রকে ধরে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিৎ। প্রশাসন তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে এলাকাবাসী আশা করেন।