পাক-ভারত ত্রিভুজ প্রেমের বলি সুনন্দা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শশী থারুরের সাথে পাকিস্তানি নারী সাংবাদিক মেহের তারারের প্রণয় কাহিনী ফাঁস হওয়ার একদিন পার না হতেই রহস্যজনক মৃত্যু হলো শশীর স্ত্রী সুনন্দা পুষ্করের। এ প্রণয় কাহিনীর কথা ফাঁস করেছিলেন শশীর স্ত্রী সুনন্দা নিজেই। সুনন্দা পাকিস্তানি সাংবাদিক মেহেরকে আইএসআইয়ের চর হিসেবেও উল্লেখ করেছিলেন, যার কারণে মামলার হুমকি দিয়েছিলেন মেহের। ভারতের অনেকে মিডিয়া এ ঘটনাকে পাক-ভারত ত্রিভুজ প্রেম বলে উল্লেখ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্বামীর সাথে পাক সাংবাদিকের প্রণয়ের কথা জানতে পেরে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন সুনন্দা। এর পরিণতিতেই এ মৃত্যু।
পুলিশ শুক্রবার সুনন্দার মৃতদেহ নয়াদিল্লীর চানক্যপুরীর লীলা হোটেল থেকে উদ্ধার করে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে ঢুকে দেখা যায়, তিনি মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িতে রঙের কাজ চলার কারণে বৃহস্পতিবার থেকে ওই হোটেলে থাকছিলেন স্বামী-স্ত্রী। গতকালই হোটেল ছাড়ার কথা ছিলো তাদের।

তবে হোটেল সূত্রে জানানো হয়েছে, দুজন আলাদা আলাদা রুমে থাকছিলেন। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক সেরে হোটেলে ফেরেন শশী। সুনন্দা দরজা না খোলায় শশী হোটেল কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। দরজা ভাঙার পরে বিছানা থেকে সুনন্দার দেহ উদ্ধার হয়। আত্মহত্যা ছাড়া মৃত্যুর পেছনে অন্য সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন শশীর ব্যক্তিগত সচিব অভিনব কুমার।
তবে সুনন্দার মরদেহ ময়না তদন্তকারী চিকিত্সক বলেছেন, এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। তার শরীরে আঘাতের দাগ রয়েছে। এসব দাগের ভিডিও এবং স্থির ছবি নেয়া হয়েছে। এর বেশি ওই চিকিত্সক আর কিছু না জানিয়ে বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পূর্ণ প্রতিবেদন পেলেই সবাই জানতে পারবেন।