পাকিস্তানি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৪৮ আরোহীর সবার মৃত্যু

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: পাকিস্তানের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৪৮ আরোহীর সবাই মারা গেছেন। এতে ৩১ পুরুষ, ৯ জন নারী এবং ২ জন শিশু রয়েছে। তিনজন বিদেশিও এই বিমানে ছিলেন। একজন সাবেক সঙ্গীতশিল্পী ও তার পরিবারের সদস্যরাও এই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। গতকাল বুধবার চিত্রল থেকে ইসলামাবাদ যাওয়ার পথে অ্যাবোটাবাদের কাছে পিআইএ-৬৬১ ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, পাহাড়ের গায়ে আচড়ে পড়ে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।

পাকিস্তানের সরকারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিমানের কারো বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। পিআইএ এয়ারক্র্যাফট এটিআর-৪২(এপি-বিএইচও) ইসলামাবাদ থেকে ৪৩ মাইল দূরে খাইবারপাখতুনখাওয়া প্রদেশের হাভেলিন শহরের কাছে সাদ্দাবাটোলনি গ্রামে একটি অস্ত্র কারখানার কাছে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৪২ জন যাত্রী, ৫ জন ক্রু এবং একজন প্রকৌশলী ছিলেন। পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের (পিআইএ) মুখপাত্র ডেনিয়েল গিলারি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, গতকাল স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪২ মিনিটে ঘটা বিমান দুর্ঘটনায় সঙ্গীতশিল্পী জুনায়েদ জামশেদ, তার পরিবারের সদস্যসহ ৩ জন বিদেশিও মারা গেছেন। বিমানটি বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে চিত্রল বিমানবন্দর ত্যাগ করে। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে ইসলামাবাদের বেনজির ভুট্টো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছানোর কথা ছিলো। কিন্তু পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগেই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সাথে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সরকারি কর্মকর্তা তাজ মুহাম্মদ খান জানিয়েছেন, আরোহীদের দেহ এমনভাবে পুড়ে গেছে যে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়তো সম্ভব হবে না। বিশেষজ্ঞরা দুর্ঘটনাস্থলের ছবি দেখে ধারণা করছেন, পাহাড়ের গায়ে আঁচড়ে পড়ার পর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। যদিও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তাজ জানান, পার্বত্য এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। মাটিতে পড়ার আগেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী জুম্মা খান বলেন, আমরা অনেকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। তবে তারা নারী না পুরুষ তা বুঝতে পারছি না। আমরা কেবল পা এবং হাত উদ্ধার করেছি।