পদ্মা-মেঘনায় আষাঢ় শেষেও ইলিশের দেখা নেই

 

স্টাফ রিপোর্টার: আষাঢ়গিয়ে শ্রাবণ মাস চলে এলেও জেলার পদ্মা ও মেঘনায় ইলিশের দেখা মিলছে না।বরিশাল-চাঁদপুর ও মুন্সীগঞ্জ সীমান্ত ঘেরা শরীয়তপুর জেলা। এ জেলার জাজিরা, নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ, ডামুড্যা ও গোসাইরহাট উপজেলার পদ্মা ও মেঘনা পাড়ের ১৪হাজার জেলে পরিবার বাস করে। তাদের জীবিকা চলে নদীতে মাছ ধরে। এ বছর নদীতেমাছ না পাওয়ায় এসব পরিবারে বিরাজ করছে নীরব হাহাকার। ইলিশের দেখা না পাওয়ায়তাদের সংসার চলছে না। শরীয়তপুর জেলার পদ্মা ও মেঘনার পাড়ে অনেক জেলে পরিবারের সন্তানদের বিদ্যালয়ে যাওয়াও বন্ধ হয়ে গেছে। এনজিওকিস্তি আর মহাজনের দেনার ভয়ে জেলে ও মাঝি-মাল্লারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।এদিকে চুয়াডাঙ্গার বাজারেও ইলিশের সংকট। ফলে দাম চড়েছে আকাশ ছোঁয়া।

ভেদরগঞ্জউপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া স্টেশন বাজারের জেলে নৌকার মহাজন হাবিব মাঝিবলেন, একবার জাল-জেলে নিয়ে মাছ ধরার জন্য নদীতে যেতে ৪০ হাজার থেকে ৫০হাজার টাকা ব্যয় হয়। আর জেলেদের ফিরতে হয় শূন্য হাতে। চরসেন্সাস ইউনিয়নেরনরসিংহপুর আড়ত্ ঘরে মহাজন লাল মিয়া দিদার বলেন, সরকারের নিষেধ অমান্য করেজাটকা শিকার করায় ইলিশের ভরা মৌসুমেও ইলিশের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।জেলেদের এ দুর্গতির জন্য তারাই দায়ী। গোসাইরহাট উপজেলার চরজালালপুর ওমাঝের চরের আড়ত্দার আলমগীর মেম্বার বলেন, আমরা জেলেদের পেছনে হাজার হাজারটাকা বিনিয়োগ করি। মাছের মৌসুমে মাছ দিয়ে তাদের দেনা শোধ করার কথা।কিন্তু এখন নদীতে মাছ না পেয়ে জেলেরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

নড়িয়াউপজেলার নওপাড়া মুন্সী কান্দি গ্রামের ছালাম দাড়িয়া বলেন, আমরা নদীতে মাছনা পাওয়ায় অনেক কষ্টে আছি। আমাদের কষ্ট শোনার বা দেখার কেউ নেই। সরকারজাটকা রক্ষায় অনেক উদ্যোগ নিলেও ফল পাওয়া যাচ্ছে না।