নির্বাচনী এজেন্টের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারধর করার প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কুমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাও. আব্দুল কাদের

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা আব্দুল কাদের। প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ও তার লোকজন কর্তৃক মাওলানা আব্দুল কাদেরের প্রধান নির্বাচনী এজেন্টের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারধর করার প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন যে, তিনি বর্তমান টার্মসহ পরপর ২ বার কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তিনি এবার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে চশমা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বীত হয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর কর্মীরা বিভিন্ন গ্রামে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর কর্মীদের নানা হুমকি প্রদানসহ নির্বাচনী কাজে বাধা সৃষ্টি করছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ৭ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত হাড়গাড়ি গ্রামে মাওলানা আব্দুল কাদেরের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট বিল্লাল হোসাইনের বাড়িতে তার অসুস্থ ছেলেকে দেখতে যান মাওলানা আব্দুল কাদেরের ২ নির্বাচন সমন্বয়কারী শেখ নূর মোহাম্মদ হুসাইন ও ইউপি চেয়ারম্যান দারুস সালাম। এ সময় আকস্মিকভাবে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আবু সাঈদ পিন্টু ও তার ৪০/৫০ জন লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে এবং তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা বাড়িতে প্রবেশ করে প্রধান নির্বাচনী এজেন্টকে বেধড়ক পেটায়। এ সময় নারকীয় পরিবেশের সৃষ্টি হলে প্রতিবেশীরাও ছুটে আসেন। তাদের সহযোগিতায় আব্দুল কাদেরের রোগী দেখতে যাওয়া ২ নির্বাচনী সমন্বয়কারী বাড়ি ফিরতে সক্ষম হন।  তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, সরকার দলীয় প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে যে অবস্থার সৃষ্টি করেছেন, তা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অন্তরায়। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি ওই ঘটনার দ্রুত প্রশাসনিক তদন্ত দাবি করে দোষিদের শাস্তি দাবি করেছেন। একই সাথে তিনি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।