নিজের গলায় নিজেই ধারালো অস্ত্রের পোঁচ বসিয়ে মনগড়া গল্প বলতে শুরু করেছে মধ্যবয়সী নারী

চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গার রোকেয়ার কান্ড দেখে নানাজনের নানামত

 

কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি/ভ্রাম্যমাণ সংবাদদাতা: ধারালো অস্ত্র হেঁসো দিয়ে নিজেই নিজের গলা কেটে মনগড়া গল্প বলতে শুরু করেছেন রোকেয়া বেগম নামের মধ্যবয়সী নারী। তিনি দামড়হুদা কার্পাসডাঙ্গা মাঝেরপাড়ার ফেরদৌস আলীর স্ত্রী। তিন সন্তানের জননী। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজেই নিজের ঘর থেকে হেঁসো বের করে গলায় পোঁচ দিয়ে রক্তাক্ত জখম হন। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। চিকিৎসক বলেছেন, নারীর গলার খুব সামান্যই কেটেছে। নালি কাটতে অনেকটাই বাকি। ফলে তিনি এখন সম্পূর্ণই ঝুঁকিমুক্ত।

রোকেয়া বেগম (৪৮) সম্পর্কে স্থানীয়দের অনেকেই বলেছেন তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। মাঝে মাঝে পাগলামি করেন। অবশ্য স্থানীয় সচেতন যুবসমাজসূত্র বলেছে, মহিলা জিন পরীর কথা বলে বেশ কিছুদিন ধরে বাণিজ্যের ফাঁদ পাতার ফন্দি আটছে। সেই ফন্দিরই কোনো অংশ হিসেবে নিজেই নিজের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে পোঁচ বসিয়ে জিনে কেটেছে বলে প্রচার চালাতে শুরু করেছে। সচেতন যুবসমাজের এ মন্তব্যের অনেকটাই সত্যতা মিলেছে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোকেয়া বেগমের কথা। তিনি প্রথমে ওই জিনের কথাই বলতে চেয়েছে। জিন সম্পর্কে কয়েকটি প্রশ্ন করতেই তিনি গলায় ব্যথা করছে বলে মুখ ঘুরিয়ে নীরব হয়ে পড়েন।

জানা গেছে, রোকেয়া বেগমের রয়েছে তিন ছেলে। বড় ছেলে স্ত্রী সংসার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। অপর দু ছেলে স্কুলছাত্র। রোকেয়া বেগম নিজের সংসার সামলান। তিনি বলেছেন, আমার স্বামী খুব ভালো মানুষ। আমার গলা কাটার সাথে স্বামীর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।