নায্যমূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে পোষাক বিক্রি : গাংনীতে তিন দোকানীর জরিমানা

 

গাংনী প্রতিনিধি: নায্যমূল্যের চেয়ে বেশি দরে পোষাক বিক্রি করার অপরাধে মেহেরপুর গাংনী শহরের তিনব্যবসায়ীর কাছ থেকে আট হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গাংনী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম জামাল আহম্মেদ ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অর্থদণ্ডিত তিন দোকানী হচ্ছেন- জামান গার্মেন্টস, হিরা বাজার ও কাজল বস্ত্রমেলা।

ভ্র্যম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, ঈদ সামনে রেখে গাংনী শহরের বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা নায্যমূলের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দরে পোষাক, জুতাসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এর প্রেক্ষিতে গতকাল দুপুরে পোষাকের দোকানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন ক্রেতা পোষাক কেনার পর চড়া দরের অভিযোগ করেন। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। ব্যবসায়ীরা তাদের পোষাক ক্রয়ের মেমো দেখাতে ব্যর্থ হন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে স্পৃষ্ট হয় যে, নায্যমূলের চেয়ে অনেক বেশি দরে কাপড় বিক্রি করা হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৪০ ধারায় অভিযুক্ত করে জামান গার্মেন্টস থেকে তিন হাজার, হিরা বাজার থেকে তিন হাজার ও কাজল বস্ত্রমেলা থেকে দুই হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম জামাল আহম্মেদ বলেন, প্রাথমিক জরিমানা করে সব ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে হোটেল রেস্তোরা, খাদ্য প্রস্তুতকৃত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান হলেও পোষাক ও জুতা-স্যান্ডেল এবং প্রসাধনীর দোকানগুলো প্রায়ই অভিযানের বাইরে থেকে যায়। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ-উজ-জামান গেলো বছর ঈদের আগে গাংনীতে দায়িত্ব গ্রহণের পর পোষাকের দেকানগুলোতে অভিযানের উদ্যোগ নেন। সেমত এসএম জামাল আহম্মেদ একটি অভিযান পরিচালনা করে দুটি দোকান থেকে জরিমানা আদায় করেছিলেন। যা সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে ব্যাপক স্বস্তি এনে দিয়েছিলো। এবারের অভিযানের মধ্যদিয়ে আবারও ক্রেতা ও জনসাধারণের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। ঈদের আগ পর্যন্ত অভিযান অব্যহত রাখার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন মহল।

তবে অভিযান অব্যহত থাকবে উল্লেখ করে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ-উজ-জামান বলেন, সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে অভিযোগ আসছে। অভিযানের মধ্যদিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। এরপরেও যদি কেউ অতি মুনাফার জন্য ক্রেতা ঠকান তাহলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।