নতিপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির পছন্দের ব্যক্তিকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের পাঁয়তারা প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদার নতিপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছে। সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতার কথা তুলে ধরে সভাপতির পছন্দের অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন করার হুমকি দিয়েছে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পছন্দের শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ শিক্ষর্থীরা ক্লাস বর্জন করে।     জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি দু বছর ধরে শূন্য রয়েছে। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদানের জন্য উপজেলা, জেলা ও খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালক কর্তৃক পত্র মারফত একাধিকবার জানানো হলেও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জাফর আলী তা না করে নিজের ইচ্ছানুযায়ী পর্যায়ক্রমে চারজন সহকারী শিক্ষককে দিয়ে ভারপ্র্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করাচ্ছেন। এমনকি সহকারী প্রধান শিক্ষক মোমিনুল হক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার বুঝে পেতে আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করে সভাপতিসহ বিবাদীগণকে সমন জারি করেন। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর যৌন হয়রানির অভিযোগে এক সময় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস।     দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য থাকায় বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান নিয়ে অভিভাবকরা উদ্বেগ প্রকাশ করলে সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন ম্যানেজিং কমিটি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ পদে ১৪ জন আবেদন করলেও বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আজিজুল হককে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছেন সভাপতির অনুসারী ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা।  একটি সূত্র জানায়, পছন্দের প্রার্থী চূড়ান্ত করায় আবেদনকারীদের ১১ জন এ পরীক্ষায় অংশ নেবেন না। তবে আজিজুলের পক্ষে লোক দেখানোর জন্য দুজন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেবেন। বিষয়টি ‌আগেভাগেই সাজিয়ে রাখা হয়েছে। আজিজুলের পক্ষে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক দুজন হলেন- রুইথনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমলাপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান হাফিজ ও বিষ্ণুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মুনসুর আলী। মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে অযোগ্য প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পাঁয়তারা করার বিষয়টি জানাজানি হলে অভিভাবক মহলসহ শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যেকোনো মূল্যে তারা এ অযোগ্য শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিহত করবে বলে এ প্রতিবেদককে জানানো হয়। এ ব্যাপারে অভিভাবকমহল ও শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে সভাপতি জাফর আলীর সাথে কথা বললে তিনি তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগটি আদৌ সত্য নয় বলে জানান।