ধর্ষণের শিকার বাকপ্রতিবন্ধী শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন

স্টাফ রিপোর্টার: আলুকদিয়া এলাকার অনেকের মুখেই প্রশ্ন, অতোটুকু ছেলে কি ধর্ষণ করতে পারে? এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গতকাল সরেজমিন গেলে ধর্ষণের শিকার ৯ বছরের বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর দাদি বলেছেন, ‘সন্ধ্যায় যখন কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফেরে। তখন ওর পা রক্তে ভিজে যাচ্ছিলো। কথা বলতে পারে না, কিন্তু কে কাকে সাথে নিয়ে কী করেছে তা তো দেখিয়ে দিতে পারে। সবই বলেছে। তাছাড়া পরিত্যক্ত যে ঘরে দু কিশোর এ সর্বনাশ করেছে, সেই ঘরের সামনে যারা বিকেলে খেলা খেলছিলো তারাও তো ওই দু কিশোরের কথাই বলেছে।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের আলুকদিয়া আনসার ক্যাম্পের অদূরবর্তী মহল্লার এক দম্পতির ৯ বছর বয়সী বাকপ্রতিবন্ধী শিশু কন্যা গত রোববার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের বাচড়ার ধারের পরিত্যক্ত ঘরে ধর্ষণের শিকার হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরে প্রতিবন্ধী শিশু। সে দেখিয়ে দেয় যাকে সে স্থানীয় একটি প্রাইমারী স্কুলের ছাত্র। বয়স আনুমানিক বারো। পরে জানা যায়, ওই কিশোরের সাথে আরও এক কিশোর ছিলো। দুজনে ধর্ষণ করেছে বলে শিশু কন্যার পিতা বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত দু কিশোরকে আটক করে থানায় নেয়। পরদিন সোমবার শিশু আইনে ওদেরকে সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করা হয়। জামিন শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।
অপরদিকে, গতকাল বাকপ্রতিবন্ধীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডসূত্র বলেছে, ধর্ষণের প্রাথমিক আলামত হিসেবে রক্তের নমুনা পাওয়া গেছে। তবে তা শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমাদের পরীক্ষাগারের প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি (অপারেশন) ইন্সপেক্টর আমির আব্বাস। তিনি বলেছেন, তদন্ত চলছে। ভিকটিম শিশু। অভিযুক্তরাও শিশু। ফলে খুব সতর্কতার সাথে ঘটনার গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করছি।