দৌলতপুরে মরিচা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ত্রাণের চাল আত্মসাতের অভিযোগ

 

 

দৌলতপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মরিচা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ত্রাণের চাল আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পদ্মাপাড়ের ভাঙন এলাকার গরিব দুস্থ মানুষের বরাদ্দকৃত ত্রাণের ৯ বস্তা চাল আটক করেছে হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনায়কুণ্ডি বাজারের নৈশপ্রহরী।

জানা গেছে, গত সোমবার ভোরে সোনায়কুণ্ডি বাজারের নৈশপ্রহরী নজীবুল ও হবিবার রহমানের সন্দেহ হলে একটি ত্রাণের চাল বোঝাই নসিমনচালক শুকুর আলীকে আটক করে। শুকুর আলী জানায়, মরিচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহাবুল ও মেম্বার সাইদুল তাকে চালের বস্তাগুলো আল্লারদর্গা বাজারে পৌঁছে দেয়ার জন্য বলেছে। আটককৃত চালের বাজার মূল্য ৩২ হাজার টাকা।

এ বিষয়ে মরিচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহাবুল হক জিজ্ঞাসাবাদে মোবাইলে জানান, তিনি তার ইউনিয়নে ৮ টন চাল বরাদ্দ পেলে তা গরিবদের মাঝে চৌকিদারের মাধ্যমে গত রোববার ২০ কেজি করে বিতরণ করে দিয়েছেন। যার প্রমাণ তার কাছে আছে। তিনি বলেন, আমি আর কোনো খবর রাখি না, পরে সোমবার সকালে জানতে পারলাম আমার ইউনিয়নে ৯ বস্তা চাল আটক করা হয়েছে। চৌকিদারদের জিজ্ঞাসা করে জানতে পারি তালিকাভুক্তদের সকলের চাল দেয়ার পর ওই চাল অবশিষ্ট আছে। তাই তারা বিক্রি করে ভাগাভাগি করে নিবে বলে আল্লারদর্গা বাজারে বিক্রি করতে এসে ধরা পড়েছে। এতে আমার কোনো ভূমিকা নেই।

এলাকা ঘুরে জানা গেছে, চেয়ারম্যানের কথার সাথে ও এলাকাবাসীর বক্তব্যের যথেষ্ট মিল রয়েছে। এলাকার আকবর আলী জানান, জনপ্রতি ২০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও বাড়িভাঙা গরিবদের চাল দেয়া হয়েছে ১৭/১৮ কেজি করে। ২০ কেজির নামে ১৭/১৮ কেজি চাল নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করেনি। কারণ প্রতিবাদ করলে পরে চেয়ারম্যান-মেম্বার তাদের আর কোনো সাহায্য দেবেন না।