দোকানে বাকি করায় ভাগ্নের সাথে খালুর বিরোধ : পুলিশেনালিশ করেও প্রতিকার মেলেনি : ছেলে-স্ত্রী আহত এবং

 

স্টাফ রিপোর্টার: ভায়রার ছেলে দোকানে বাকি করায় প্রতিবাদ জানিয়ে একের পর এক হামলার শিকার হয়েছেন নাসির উদ্দীন ও তার স্ত্রী-সন্তান। হামলায় আহত স্ত্রী মনোয়ারাকে হাসপাতালে নিলেও শেষ পর্যন্ত এক ব্যক্তির প্ররোচণায় ইসলামী হাসপাতালে ব্যান্ডেজ করিয়ে বেকায়দায় পড়েছে। মামলা করবে। ডাক্তারি সনদ পাবে কোথায়? এ নিয়ে দুশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে কপালে।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরে গোপিনাথপুরের নাসির উদ্দীন বলেছেন, রাজমিস্ত্রির জোগালে হিসেবে কাজ করি। একই সাথে কাজ করে ভায়রা ভাইয়ের ছেলে ইমানুল। ও মাঝে মাঝে দোকানে বাকি করে। সেই বাকির বোঝা আমাকেই টানতে হয়। কয়েকদিন আগে চুয়াডাঙ্গা ঈদগাপাড়ার একটি বাড়িতে কাজ করি। ঈদগামোড়ের একটি দোকানে ২৭ টাকা বাকি করে ইমানুল। প্রতিবাদ করতে গেলে সে আমাকে মারধর করে। থানায় নালিশ করি। পুলিশ কিছুই করেনি। শুক্রবার কাজের উদ্দেশে বের হই। রেলবাজারে একা পেয়ে ইমানুল মারধর করে। এ বিষয়টিও থানায় জানাই। ওপরদিকে পূর্বের পাওনা ৫শ টাকা চাইতে যায় ছেলে বাদশা। তাকেও মারধর করে ইমানুল। এর প্রতিবাদ করতে যায় আমার স্ত্রী অর্থাত ইমানুলের খালা মনোয়ারা। তার ওপরও হামলা চালায় সে। হাত ভেঙে যায়। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিই। ডাক্তার এক্স-রে করতে বলে। পাশেই ছিলো বেলগাছির উজ্জ্বল। সে সাথে করে নিয়ে যায় ইসলামী হাসপাতালে। এক্স-রে করিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেয়। এ বাবদ প্রায় ১৮শ টাকাও দিতে হয়ে ওদের। পরে যখন হাসপাতালে গিয়ে বলি মামলা করবো, সার্টিফিকেট দাও। ডাক্তার বলে হাসপাতালে তো চিকিৎসা করানো হয়নি, সার্টিফিকেট দেবো কীভাবে?

একথা শুনে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, এর আগে আমার একবার হাত ভাঙে। তখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এলে এতো জোরে হাত টানে যে মরার মতো হয়ে যায়। সেই কষ্টের কথা ভেবে ইসলামী হাসপাতালেই স্ত্রীকে চিকিৎসা করালাম। এখন শুনছি সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে না। এ কষ্ট কোথায় রাখি বলুন তো!