দেশের টুকিটাকি : কুড়িগ্রামে মিনি বিশ্ব ইজতেমায় ২ মুসল্লির মৃত্যু

কুড়িগ্রামে মিনি বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লির মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার: কুড়িগ্রামে তিন দিনব্যাপী মিনি বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে দুই মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। ইজতেমার আয়োজকরা জানান, গতকাল শুক্রবার ভোররাতে ঘুমন্ত অবস্থায় আবদুস ছামাদ (৬০) মারা যান।
এরপর সকাল ১০ টায় হাফেজ মকবুল হোসেন (৫০) নামে একজন মুসল্লি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। নিহত মকবুল হোসেনের বাড়ি নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ আর আবদুস ছামাদের বাড়ী রাজিবপুর উপজেলায়। জুমার নামাজ শেষে ইজতেমা মাঠে তাদের জানানা অনুষ্ঠিত হয়। কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত ইজতেমার আয়োজন করে জেলা তাবলিগ জামাত। বৃহস্পতিবার আসরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয় ইজতেমার মূল পর্ব। দুই মুসল্লির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে কুড়িগ্রাম মার্কাস মসজিদের শুরা সদস্য এরশাদুল ইসলাম চাঁদ জানান, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় জায়গা সংকুলান না হওয়ায় কুড়িগ্রামসহ দেশের ৩২টি জেলায় মিনি বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি ১৩ পরীক্ষার্থীর সাজা

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ১৩ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ওই ১৩ জনকে আটক করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে প্রক্টর কার্যালয়ে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিকেলে প্রত্যেককে দুই বছর করে সাজা দেয়া হয়। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন ইমরান খান, সাবিয়া ইসলাম, আল ইমরান, আকাশ খন্দকার, জাহিদ হাসান, তারিক চৌধুরী, অবণী রায়, মাহমুদুল হাসান তারেক, সাদমান ইয়াছির, আল-আমিন, ইসতিয়াক আহমেদ, জুলকার নাইন নির্ঝর ও সঞ্চিতা রানী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে কর্তব্যরত শিক্ষকেরা ১৩ জনকে আটক করেন। তারা মুঠোফোনে খুদে বার্তা ও বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী লালবাগ সার্কেলের নির্বাহী হাকিম রবীন্দ্র চাকমা সাংবাদিকদের বলেন, ১৩ জনকে দুই বছরের করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ৫৮টি ও ক্যাম্পাসের বাইরে ২৯টিসহ মোট ৮৭টি কেন্দ্রে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটের অধীনে বিভিন্ন বিভাগে ১ হাজার ৭৪৫টি আসনের বিপরীতে প্রতিযোগী ছিলেন ৯০ হাজার ৪২৭ জন।

নেশার টাকা না পেয়ে নববধূকে পিটিয়ে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় নেশার টাকা না দেয়ায় নববধূকে পিটিয়ে ও গলাটিপে হত্যা করেছে মাদকাসক্ত স্বামী। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বিটেরশ্ব ইউনিয়নের নোয়াগাও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ঘাতক স্বামী সফিউল্লাহকে আটক করা হয়। নিহত গৃহবধূ সুমাইয়া বেগম (১৮) মুরাদনগর উপজেলার সর্মাকান্দা গ্রামের রাজা মিয়ার মেয়ে। কয়েকদিন আগে তাদের বিয়ে হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নেশার টাকা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে সুমাইয়ার সঙ্গে ঝগড়া হয় সফিউল্লাহর। এক পর্যায়ে তাকে হত্যা করে সফিউল্লাহ। এ সময় তাকে ধরতে গেলে তার বাবা-মাকেও হত্যার করার হুমকি দেয়। দাউদকান্দি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ঘাতক সফিউল্লাহ মাদকাসক্ত হওয়ায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে। নিহতের গৃহবধূর গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সফিউল্লাহ এ হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে জানান তিনি।

অভিনয়ের শখ মিটে গেছে!

স্টাফ রিপোর্টার: গত ঈদুল ফিতরে ছোটপর্দায় অভিষেক হয়েছে সংগীতশিল্পী হৃদয় খানের। ওই ঈদেই তন্ময় তানসেনের ‘ক্ষরণ’, মুহাম্মদ মোস্তাফা কামালের ‘রূপকথার গল্প’ ও এস এ হক অলিকের ‘ফিরে যাওয়া হলো না’ নাটকগুলোতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। একে তিনি বলেছিলেন, ‘শখের বসেই অভিনয়।’ ঈদুল আজহাতেও ছিল একাধিক নাটকের প্রস্তাব। আসছে এখনো। কিন্তু নাটকে আর অভিনয় করতে চান না তিনি। কেনো আর অভিনয় করতে চান না জানতে চাইলে হৃদয় খান বলেন, ‘আমি আসলে কখনোই নিয়মিত অভিনয় করতে চাইনি। ওই সময় কাছের মানুষগুলো এমনভাবে ধরেছিলেন আমাকে, শেষ পর্যন্ত উপেক্ষা করতে পারিনি। আর নিজেরও খানিকটা শখ ছিল।’ শখ মিটে গেছে কি না জানতে চাইলে হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, মিটে গেছে। আমি তো অভিনয়শিল্পী নই। যে কাজটা আমার, সেটাই মন দিয়ে করতে চাই। তাই আর অভিনয় করছি না। পুরো সময়টা গানেই দিতে চাই।’ ‘ক্ষরণ’ নাটকে তারিন, ‘রূপকথার গল্প’ নাটকে তিশা ও ‘ফিরে যাওয়া হলো না’ নাটকে পূর্ণিমার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন হৃদয় খান।