দেশের টুকিটাকি : মায়ের কাছে যেতে কাঁদছে এক কিশোরী : বাড়ি বলেছে কুষ্টিয়ায়

মায়ের কাছে যেতে কাঁদছে এক কিশোরী : বাড়ি বলেছে কুষ্টিয়ায়

স্টাফ রিপোর্টার: নওগাঁ সদর হাসপাতালে গত ৫৩ দিন ধরে আছে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক কিশোরী। আহত কিশোরীকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসায় সে শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে ওঠে। এখন তার মানসিক সমস্যা রয়েছে। ওয়ার্ডের মধ্যে সে সারাক্ষণ ছোটাছুটি করে। মায়ের কাছে যেতে প্রতিদিন কান্না করে। পরিচয় না মেলায় তাকে ছাড়তেও পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মেয়েটিকে নিয়ে এখন তারা বিপাকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, কিশোরী তার নাম বলছে সুমি। বয়স আনুমানিক ১৬ বছর। বাবা-মায়ের নাম একেক সময় একেক রকম বলছে। বাড়ি বলছে কুষ্টিয়া। আর কিছুই বলতে পারছে না সে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ৫ জানুয়ারি ওই কিশোরীকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে যান ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এরপর থেকে সে হাসপাতালের মহিলা অর্থো ওয়ার্ডের ৮৯ নম্বর বেডে আছে। হাসপাতালে আসার পর ৫ দিন পর্যন্ত কিশোরী অচেতন ছিলো। সবার প্রচেষ্টায় ২০ দিনের মধ্যে সে সুস্থ হয়ে ওঠে। এরপর এক মাসের বেশি সময় কেটে গেছে, তার কোনো অভিভাবক পাওয়া যাচ্ছে না। পাওয়া যাচ্ছে না ঠিকানাও। তাই তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া যাচ্ছে না।

 

উত্তরায় গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ ২ ভাইয়ের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর উত্তরায় গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়া একই পরিবারের পাঁচজনের মধ্যে দুজন মারা গেছে। গতকাল শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। তারা হলো সারলিন বিন নেওয়াজ (১৫) ও তার ১৪ মাস বয়সী ভাই জায়ান বিন নেওয়াজ। সারলিন উত্তরা রাজউক মডেল কলেজের দশম শ্রেণিতে পড়তো।
বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে সারলিনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেলে দায়িত্বরত পুলিশ ক্যাম্পের নায়েক রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, বিকেল ৫টার দিকে সারলিনের মৃত্যু হয়। চিকিৎ​সকদের বরাত দিয়ে পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে জায়ান বিন নেওয়াজের মৃত্যু হয়।
গতকাল ভোরে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে এক বাড়িতে গ্যাস বিস্ফোরণে সারলিন, জায়ান, তাদের বাবা-মা ও এক ভাই দগ্ধ হন। বাকি ৩জনই বর্তমানে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।

 

বিচারের আশা ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে : অভিজিতের পিতা

স্টাফ রিপোর্টার: অভিজিৎ রায় হত্যার এক বছর গত হলেও এখনো কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এই অবস্থায় তার পিতা অধ্যাপক অজয় রায় ছেলে হত্যার বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয়ের মধ্যে আছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, একজন ক্ষতিগ্রস্ত পিতা হিসেবে বিচার নিয়ে তার আশার জায়গা ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আসছে। গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে অমর একুশে বইমেলা থেকে বের হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসংলগ্ন ফুটপাতে খুন হন মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও লেখক প্রকৌশলী অভিজিৎ রায়। আহত হন তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ। গত এক বছর ধরে ছেলের হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে অভিজিৎ রায়ের পিতা এখন ক্লান্ত। ছেলের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে অগ্রগতি কতোটুকু হয়েছে সেটি জানতে তিনি বারবার গিয়েছেন গোয়েন্দা অফিসে। কিন্তু বিচার নিয়ে আশাবাদী হওয়ার মতো কোনো উত্তর পাননি অজয় রায়। প্রবীণ এই অধ্যাপক প্রশ্ন তোলেন, সত্যিই কি আমি অভিজিৎ হত্যার বিচার পাবো? আমাদের দেশে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠছে, এটা বিপদজনক।

 

ডেমরায় স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি

স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর ডেমরায় প্রকাশ্যে জুয়েলার্সের দোকানি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সারুলিয়া মনুমোল্লা শপিং কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় কেয়া জুয়েলার্সের এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাত দল দোকান কর্মচারীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৮০ ভরি সোনা ও ৫ লাখ টাকা লুট করে। কেয়া জুয়েলার্স দোকানের কর্মচারী অমর, উত্তম ও তনু বলেন, দুপুরে ৮/১০ জনের একটি ডাকাত দল হঠাত দোকানে প্রবেশ করে। এ সময় সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। দোকানের ক্যাশ বাক্স হাতানোর চেষ্টা করলে তার বাধা দেয়। এ সময় ডাকাতদল উত্তমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ডাকাতদল প্রায় ৮০ ভরির সোনারগয়না ও ৫ লাখ টাকা লুট করে দ্রুত পালিয়ে যায়। দোকান মালিক উত্তম পালের ভাই হরিস চন্দ্র পাল জানান, গত বৃহস্পতিবার চিকিত্সার জন্য উত্তম পাল ভারতে গিয়েছেন। ডাকাতদল এ সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে। তার ধারণা, ডাকাতির ঘটনাটি পরিকল্পিত।