দু নৌকায় পা দিয়ে অকুল দরিয়ায় পড়া আকুলের অবশেষে আত্মহত্যা

ভালাইপুর প্রতিনিধি: ঘরে নিজের স্ত্রী সন্তান থাকতেও প্রতিবেশীর স্ত্রীকে নিয়ে আত্মগোপনের কয়েকদিনের মাথায় বাড়ি ফিরে শেষ পর্যন্ত বিষপানে আত্মহত্যা করেছে আকুল হোসেন। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পরকিয়া প্রেমিকার লোকজনের হামলার শিকার হয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে মাঠে বিষপান করে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর বেলা ৩টার দিকে মারা যায় আকুল। এরপর তড়িঘড়ি করে তার নিকটজনেরা লাশ হাসপাতার থেকে সরিয়ে নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের প্রক্রিয়া করা হয়।
গ্রামসূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার কুলপালা গ্রামের দুই সন্তানের জনক ফরজ হোসেনের ছেলে আকুল হোসেন মহেশপুর উপজেলার কুশোডাঙ্গা গ্রামের খলীল হোসেনের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী রিনা খাতুনের সাথে পরকীয়া প্রেমের জের ধরে অজানার উদ্দেশে পাড়ি জমায়। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রেমিকাকে নিয়ে স্ত্রী পরিচয়ে বাড়িতে উঠলে গতকাল শুক্রবার সকালে মেয়ে পক্ষের লোকজন কুলপালায় উপস্থিত হলে দুই পরিবারের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে প্রেমিক অকুল সকাল ১০টায় বাড়ি থেকে মাঠের দিকে পালিয়ে গিয়ে বিষপান করে মোবাইলফোনের মাধ্যমে বাড়িতে জানায়। তাৎক্ষণিক পরিবার ও গ্রামের লোকজন মাঠে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসে। দুপুরের পর বাড়ির পাশের আমবাগান থেকে তাকে বিষপান অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যায় অকুল। পরকীয়া প্রেমিকা রিনা খাতুনকে ঘরের মধ্যে তালা মেরে রাখা অবস্থায় দেখা গেলেও সাংবাদিক পরিচয়ে তালা খুলে দেন। রিনা খাতুন বলেন ৫ মাস আগে তার সাথে আমার প্রেম সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে ঈদের পরদিন স্বামী সন্তান ফেলে পালিয়ে যায়। এদিকে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের প্রক্রিয়া চলছিলো বলে জানা গেছে।
পরস্ত্রিকে নিয়ে পালানোর পর বাড়ি ফিরে হামলার শিকারের পর আত্মহত্যার বর্ণনা শুনে অনেকেই মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, ঘরে স্ত্রী সন্তান রেখে পরস্ত্রীকে নিয়ে অর্থাত দু নৌকায় পা দিয়ে ব্যচারা পড়েছিলো অথৈ সাগরে। শেষ পর্যন্ত আর বাঁচা হলো না তার।